পাতা:নিদর্শনতত্ত্ব.pdf/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিদর্শনতত্ত্ব । ン* হয়, তখন সেই পক্ষ আদালতের অনুমতি লইয়া প্রথম পরীক্ষার সাক্ষর প্রতি কূটপ্রশ্ন করিতে পারে। কোন ঘটনার সময়ে অথবা অব্যবহিত পরে সাক্ষী কিম্ব অন্য কোন লোক কর্তৃক তাহ লিপিবদ্ধ হইয়া থাকিলে সাক্ষী তাহার স্মরণশক্তির উদ্দীপনা জন্য ঐ লিপি পাঠ করিতে পারে। সাক্ষী স্বয়ং যাহা জানে তাহাই তাহার বর্ণনা করার অধিকার অাছে, তদ্ব্যতীত কোন বিষয়ে তাহার যেরূপ বিশ্বাস বা মত সাধারণতঃ তাহার তাহ বলিবার অধিকার নাই । যে পক্ষের সাক্ষী, তাহার প্রশ্ন সমাধা হইলে প্রতিপক্ষ ঐ সাক্ষীর বিশ্বাস্যতা ও সত্যবাদিতা পরীক্ষা জন্য কূটপ্রশ্ন করিতে পারে, এই রূপ পরীক্ষাকে প্রতিপরীক্ষা বলা যায়। কোন একটি বিশেষ উদ্দেশ্য অবধারণ করিয়া সদ্বিবেচনা এবং মনোযোগ সহকারে কূটপ্রশ্নপ্রয়োগ অর্থাৎ প্রতিপরীক্ষা করিতে পারিলে প্রতিপরীক্ষার দ্বারা যেরূপ সত্য প্রকাশ করা যায়, এরূপ অন্য কোন উপায়েই হয় না। প্রতিপরীক্ষা কালে উত্তরপ্রবর্তক বা পথপ্রদর্শক প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার বিধান আছে, কিন্তু যে সকল ঘটনার প্রমাণ হয় নাই তাহা যেন সাব্যস্ত হইয়াছে, এই ভাবে প্রশ্ন করা উচিত নহে । যথা, রাম অভিযোগ করিল যে, শ্যাম তাহাকে মারিয়াছে, মারার কোন প্রমাণ হয় নাই, এস্থলে সাক্ষীকে “ রাম যে সময়ে শ্বামকে মারিয়াছিল, তখন তুমি রাস্তার নিকট দাড়াইয়াছিলে কি না , এরূপ প্রশ্ন করা উচিত নহে । ইংলণ্ড ও আয়ারলণ্ড দেশের নিয়মানুসারে সাক্ষী প্রথম পক্ষের প্রশ্নের উত্তরে যে সকল কথা বর্ণন করিয়াছে, তৎসম্ব ఖ&