পাতা:নিদর্শনতত্ত্ব.pdf/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

는 निझ=fनंउड् ? তাহাকেই শ্রুতু্যক্তি কহে, সাধারণতঃ শ্ৰুতু্যক্তি প্রমাণ বলিয়া গ্রহণীয় নহে । । to পূর্বেই উল্লিখিত হইয়াছে যে, দুইটি বিশেষ কারণে সাক্ষীর বাক্য সত্য বলিয়া বিশ্বাস্য, সে দুই কারণ এই – প্রথমতঃ, সাক্ষী সত্য বলার জন্য ধৰ্ম্মতঃ প্রতিজ্ঞ পাঠ করে, দ্বিতীয়তঃ, সাক্ষীর বক্তৃতায় যে পক্ষের আবদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা, সেই পক্ষের সমক্ষে ও তাহার দ্বারা সাক্ষী পরীক্ষিত ও প্রতিপরীক্ষিত হইয়াছে। শ্রাতু্যক্তিতে এই দুই নিয়মের কোন নিয়মই খাটিতে পারে নাই । রাম শ্যামকে বলিল যে, কমল উহাকে (রামকে ) মারিয়াছে ; শ্যাম যখন রামের মুখে মারার কথা শুনে, তখন রাম সত্য কথা বলার জন্য উপযুক্ত ব্যক্তির সম্মুখে ধৰ্ম্মতঃ প্রতিজ্ঞা করে নাই, কিম্বা কমল, যে ঐ কথায় আবদ্ধ হইতে পারে, সে তখন উপস্থিত থাকিয়া রামের প্রতি কূটপ্রশ্ন করত সত্য নির্ণয় করিতে পারে নাই, সুতরাং শ্যামের শ্ৰুেতু্যক্তি কোন ক্রমেই প্রমাণ বলিয়া গ্রহণ করা যুক্তিসম্মত নয়। শ্রুতু্যক্তি প্রমাণ স্বরূপে গৃহীত না হইতে পারে, তদ্বিষয়ে মহামান্য হাইকোর্ট নিম্নলিখিত নিয়ম প্রচার করিয়াছেন । “ বিচারকগণের কর্তব্য যে, উপযুক্ত সময়ে সাক্ষীর প্রতি দুই চারিটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিয়৷ সে নিজে জানিয়া বৃত্তান্ত বর্ণন করিতেছে কি অন্য কাহার মুখে শুনিয়া বলিতেছে তাহ অবধারণ করিয়ু লন। সাক্ষী যদি নিজে জানিয়া বর্ণন করে, তবে কি কি উপায়ে সে তাহ জানিয়াছে তাহাও শুনিয়া লওয়া কর্তব্য । , l, নিম্নলিখিত তিন স্থলে প্রতিজ্ঞা পাঠ ব্যতিরেকে ও তৃতীয়