পাতা:নিদর্শনতত্ত্ব.pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিদর্শনতত্ত্ব । 家、う নিদর্শনরূপে গণ্য হয় তাহ পূর্বেই লিখিত হইয়াছে, এক্ষণে কেবল লিখিত নিদর্শন বা দলীল বিষয়ের বিশেষ উল্লেখ করা যাইতেছে। কাগজ বা অন্য কোন পদার্থে অক্ষর, অঙ্ক কি চিহ্ন দ্বারা কোন বিষয় ব্যক্ত করা কি লেখা হইলে এবং ঐ বিষয় প্রমাণ স্বরূপ ব্যবহার করিবার অভিপ্রায় থাকিলে তাহাকে লিখিত নিদর্শন বা দলীল বলে । লিখিত নিদর্শন দুই প্রকার। প্রকাশ্ব ও ব্যক্তিনিষ্ঠ । যে সকল দলীল সৰ্ব্বসাধারণের সহিত সংস্রব রাখে, অথবা যে দলীলের বিষয় সকলু লোকেই অবগত থাকে, কি থাকিতে পারে অাহাকে প্রকাশ্ব দলীল বলে। প্রকাশ্ব আবার দুই ভাগে বিভক্ত, সাধারণ ও বিশেষ। পালিয়ামেণ্টের আইন কিম্বা ব্যবস্থাপক সমাজের আইন, ঘোষণাপত্র ও জন্ম বিবাহের রেজিষ্টরী সাধারণ শ্রেণীভুক্ত , এ সকল এত প্রকাশ্ব যে, সকলেই এতদ্বিষয় অবগত থাকা সম্ভব, এই জন্য অন্যান্য লিখিত নিদশন যেরূপ নিয়মিতরূপে প্রমাণ না করিলে আদালতে গ্রাহ হয় না, ইহা সে রূপ নহে। বিধিসম্মত ক্ষমতাপন্ন রাজকৰ্ম্মচারি-বিশেষ দ্বারা উহা প্রকাশ বা সংরক্ষিত হয়, সুতরাং তৎপ্রমাণার্থে অন্য নিদর্শন অনাবশ্যক। প্রসিদ্ধ ইতিহাস-ঘটিত বৃত্তান্ত সকলও এই নিয়মানুসারে প্রামাণ্য বলিয়া গণ্য হইয়া থাকে। নিম্পত্তি রায় ইত্যাদি লিখিত নিদর্শন “ বিশেষ , শ্রেণীভুক্ত ; ব্যক্তি বিশেষের সম্বন্ধে ইহা অকাট্য প্রমাণস্বরূপ গণ্য হয় বলিয়া ইহা “ বিশেষ , সংজ্ঞাপ্রাপ্ত হইয়াছে। কোন