পাতা:নিদর্শনতত্ত্ব.pdf/৫১

를 নিদর্শনতত্ত্ব । কোন রায় ও নিম্পত্তির ফলে সমুদয় লোকেরই বাধ্য হইবার বিধান আছে । দত্তকপুত্রগ্রহণ, ভ্রষ্টাচারিতা, বিবাহখণ্ডন ও জারজত্ব সম্বন্ধীয় নিষ্পত্তি ইহার প্রমাণস্থল ; এই বিধি অতিশয় সঙ্গত ও ন্যায়সম্মত । সমাজের পবিত্রত রক্ষার্থ ও লোকের বৈরক্তি ও কষ্ট নিবারণার্থ এই বিধান যারপরনাই প্রয়োজনীয়, কোন ব্যক্তি জারজ ও কেহ দুশ্চরিত্র ইত্যাদি বিষয় বারুম্বার তাহাদিগকে প্রকাশ্ব আদালতে উপস্থিত হইয়া সংস্থাপিত করিতে হইলে তাহাদের লজ্জা, অবমাননা ও কষ্টের আর সীমা থাকে না । এই সকল লিখিত নিদর্শনের বিবরণ প্রকাশ্ব বিচারালয়ে রচিত, ব্যক্ত ও প্রকাশিত হয়, সুতরাং বিধি-নিয়োজিত পরীক্ষা দ্বারা ইহারও প্রমাণ অনাব শুক । চরমলেখ অর্থাৎ উইলনামা, খত ও অন্য প্রকারের চুক্তি, ব্যক্তিনিষ্ঠ শ্রেণীর অন্তর্গত। এই সকল দলীল আইনঅবধারিত নিয়মের দ্বারা প্রমাণ না হইলে আদালতের গ্রহণীয় হয় না । যথার্থ পক্ষে ইহা উভয় পক্ষের সম্মতিতে লিপিবদ্ধ হইয়াছিল কি না, বাচনিক সাক্ষী দ্বারা বা রেজিষ্টরী দ্বারা তাহার সংস্থাপনা করিতে হইবে । কি উপায় অবলম্বন করিয়া দলীল আদালতে উপস্থিত রাইতে এবং কোন প্রণালীতে ইহার প্রমাণ করিতে হইবে, বাদী বিবাদীর মধ্যে কাহার নিকট কোন দলীল থাকিলে আবেদন কল্পত কি রূপে তৎসম্বাদ অগ্ৰেই প্রদান করিবে, সাক্ষীগণের বাচনিক পরীক্ষা ও দলীল সম্বন্ধে কূটপ্রশ্ন কোন নিয়মে করিতে হইবে, এবং দলীল কোন সময়ে আদালতে