পাতা:নিদর্শনতত্ত্ব.pdf/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিদর্শ সতন্তু । २* প্রথম উপস্থিত করিতে হইবে, তত্ত্বাধন্ত বিবরণ দেওয়ানী কাৰ্য্যবিধান আইনের ১৪৪ হইতে ১৭০ ধারায় স্পষ্টরূপে লিখিত হইয়াছে, এস্থলে তাহার উল্লেখ বাহুল্য মাত্র। রাজ্যশাসন-প্রণালীর শূঙ্খলা রক্ষণ ও সাধারণের হিতসাধনোদেশে কোন কোন দলীল সাক্ষিগণ আদালতে উপস্থিত করিতে বাধ্য নয় । মোকদ্দমায় লিপ্ত কোন ব্যক্তি তাহার পরামর্শদাতা উকীল মোক্তার বা কোদলির সহিত যে পত্রাপত্র লেখে তাহা আদালতে উপস্থিত করিতে বাধ্য হওয়ার নিয়ম প্রচারিত হইলে অনেকেই বিশ্বাস করিয়া সমুদয় ৰিষয়ের নিগুঢ় তত্ত্ব আপনাপন পরামর্শদাতা উকীলগণের নিকট ব্যক্ত করিতে সাহসী হইবে না, সুতরাং সৎপরামর্শ অভাবে তাহাদের বিলক্ষণ ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা । মোকদ্দমার বিচাৰ্য্য বিষয়ের সহিত যে দলীলের সংস্রব নাই তাহাও কেহ আদালতে উপস্থিত করিতে বাধ্য নয়, হইলে লোকের বিরক্তি ও কষ্টের সীমা থাকিত না, নিরর্থক যত্নে রক্ষিত মূল্যৰান দলীল লইয়া অনেক লোককে আদালতে যাতায়াত করিতে হইত। লিখিত নিদর্শন থাকা সত্ত্বে বাচনিক বা অন্যবিধ নিদর্শন দ্বারা তদ্বিপরীত সংস্থাপন করিতে দেওয়া যুক্তিযুক্ত ও ভারতবর্ষে বিধিসিদ্ধ কি না, এবিষয়ে অনেক তর্ক-বিতর্ক হইয়া গিয়াছে । উভয় পক্ষ পরিষ্কৃত ভাষায় আপনাপন কোন দলীলে মনের ভাব একবার লিপিবদ্ধ করিয়া বাচনিক প্রমাণ দ্বারা তদ্বিপরীত সংস্থাপন কল্পিতে পারিলে সমাজের বিষয়কৰ্ম্ম স্বশৃঙ্খলক্সপে নির্বাহ হওয়া স্থক 密