পাতা:নিদর্শনতত্ত্ব.pdf/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬ - निन्थनिज्रङ् । ঠিন হইয় উঠে, আর সাধারণের মধ্যে প্রবঞ্চন ও মিথ্যা ব্যবহারের দ্বার বহু পরিমাণে প্রশস্ত হইয়া পড়ে, এ সম্বন্ধে কলিকাতা হাইকোর্টের ভূতপূর্ব প্রধান বিচারপতি বিজ্ঞবর সর বার্লস পিকক সাহেব, কাশীনাথ চক্রবর্তী আপীলান্ট চণ্ডীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় রেঙ্গণ্ডেণ্টের ১৮৬৫ সালের ১৮৭০ নং মোকদ্দমায় ১৮৬৬ সালের ৫ ই ফেব্রুয়ারি তারিখে যে নিম্পত্তি ও অভিপ্রায় প্রকাশ করেন তাহাতে একরূপ অবধারিত হইয়াছে যে, বিশেষ বিশেষ স্থল ব্যতীত দলীলের বৃত্তান্তের বিপরীত সংস্থাপনার্থে বাচনিক নিদর্শন অগ্রাহ্য হইবে। যে যে দলীল স্বতঃসিদ্ধ প্রমাণরূপে গ্রহণীয় তবিবরণ বর্তমান আইনের ৭০ হইতে ৯০ ধারায় বিস্তারিতরূপে বর্ণিত হইয়াছে। l, লিখিত নিদর্শনে কাটকুট ঘর্ষণ-চিহ্ন অনিয়মিত পংক্তি প্রবেশ বা অন্য কোন পরিবর্তন-চিহ্ন থাকিলে উহা কিরূপে গৃহীতব্য তদ্বিষয়ের আলোচনায় প্রবৃত্ত হওয়া যাইতেছে। ঐ রূপ দলীল যে প্রথমেই উপরের নির্দিষ্ট চিহ্নযুক্ত করিয়া লিপিবদ্ধ করা হইয়াছিল আদালত এরূপ অনুমান করিবেন না । যে পক্ষ দলীল উপস্থিত করে ও উক্তরূপ দলীলের বলে কোন স্বত্ব রক্ষা করার ও অন্যরূপে উহার ফলভোগী হওয়ার প্রার্থনা করে, দলীলের নিঃসংশয়তা সম্বন্ধে তাঁহাকেই উপযুক্ত নিদর্শন দর্শাইতে হইবে। ,

লিখিত নিদর্শন সম্বন্ধে অতি সংক্ষেপে কয়েকটি মূল সূত্রের আলোচনা করা হইল, পরিশেষে অকাট্য প্রমাণ সম্বন্ধে কয়েকটি নিয়মের উল্লেখ করা যাইতেছে।