পাতা:নিদর্শনতত্ত্ব.pdf/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8૪ নিদর্শনতত্ত্ব । আমাকে বলাৎকার করা গিয়াছে, নালিশ না করিয়া ঐ স্ত্রীর এই কথা মাত্র এই ধারা মতে আচরণ বলিয়া প্রাসঙ্গিক নয় । তথাপি ৩২ ধারার (১) প্রকরণমতে মুর্ষি, বাক্য বলিয়া কিংবা ১৫৭ ধারা মতে প্রতিপোষক সাক্ষ্য বলিয়া প্রাসঙ্গিক হইতে পারে । (ড) আনন্দের দ্রব্য চুরী করা গেল কি না, এই প্রশ্ন হইল । এই স্থলে কথিত চৌর্য্য ব্যাপারের কিঞ্চিৎপরে আনন্দ সেই অপরাধের বিষয়ে নালিশ করিল, এই কথা এবং যে ভাবগতিকে ও যে কথা কহিয়া নালিশ করিল, এই সকল রত্তান্ত প্রাসঙ্গিক । নালিশ না করিয়া আমার দ্রব্য চুরী করা গিয়াছে, আনন্দের এই কথা মাত্র এই ধারা মতে আচরণ বলিয়া প্রাসঙ্গিক নয়, তথাপি ৩২ ধারার (১) প্রকরণ মতে মুমূর্ষ বাক্য বলিয়া কিংবা ১৫৭ ধারা মতে প্রতিপোষক সাক্ষ্য বলিয়া প্রাসঙ্গিক হইতে • छान्न ! কোন কোন বৃত্তান্ত বিচাৰ্য্য বিষয়ের সহিত সম্পর্ক রাখে এবং কোন কোন বৃত্তান্ত ঐ রূপ সম্পর্ক রাখে না তাহ নিৰ্ব্বাচন করা অত্যন্ত কঠিন কার্য্য ! এই বিষয়ে কোন রূপ নিয়ম নিৰ্দ্ধারণ করাও অসম্ভব । এই আইনে তৎপক্ষে যথোচিত প্রয়াস পাওয়া হইয়াছে বটে, এই নিৰ্ব্বাচন-শক্তি বিচারক ও উকীল মোক্তারগণের বুদ্ধিবিদ্যার উপরেই সম্পূর্ণ নির্ভর। সান্ধীর পরীক্ষা সময়ে ফুটপ্রশন লইয়া ষে এত গোলযোগ হয় তাহ কেবল এই জন্য। পূৰ্ব্বে বঙ্গদেশের মফঃস্বল আদালতে উক্তরূপ নিৰ্ব্বাচন সম্বন্ধে এত দূর অসন্তক, বিশৃঙ্খলতা ও অজ্ঞানতা ছিল যে, ক্রমান্বয়ে ৫ ৭ বৎসর পর্য্যস্ত একটি মোকদ্দমা চলিয়া এবং নিয়মিত রূপে সময়ে সময়ে উপস্থিত হইয়। বিচাৰ্য্য বিষয় যে কি, তাহারই নিরাকরণ হইত না। তৎকালের সামান্য একটি মোকদ্দমার নর্থী যিনি দৃষ্টি করিয়াছেন তিনি উপলদ্ধি করিতে পারেন, ষে दिछहिदू ও উকীল মোক্তারগণের অনর্থক কত পরিশ্রম ও সময় নষ্ট হইত। ঐ জিঙ্কাচন-প্রথা প্রচলিত না থাকাতে যে মোকদ্দমার এক খান, দলীল দুষ্টব্য, সেই মোকদ্দমায় শতাধিক দলীল সময়ে সময়ে প্রদত্ত হইত। ১৮৬৭ সালের