পাতা:নিদর্শনতত্ত্ব.pdf/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮৭২ সালের ১ অাইন । &ty (3) যে বিষয় লইয়া কাৰ্য্যানুষ্ঠান হয় সেই বিষয়ে .বিবাদীয় বিষয়ে যাহা যে ব্যক্তিদের অধিকারিত্ব কি ধনদের স্বার্থ থাকে তাহাদের - স্বীকার বাক্যের কথা । ঘটিত কোন স্বাধ থাকে তাহারা সেই স্বার্থযুক্ত ব্যক্তি স্বরূপ কিংবা (২) যে বিষয় লইয়া মোকদ্দমা হয় সেই বিষয়ে যে ব্যক্তির স্থানে স্থার্থ মোকদ্দমার উভয়পক্ষের স্বার্থ যে

..." শব্দ ব্যক্তিদের দ্বারা উৎপন্ন হইল সেই

ব্যক্তিরা । তাহাদের সেই স্বার্থ থাকিতে যে কথা কহে তাহাই স্বীকার বাক্য । কি প্রকারের মোক্তার বা প্রতিনিধি আদালতে গ্রাহ্য হইবে তাহ ১৮৫৯ সালের ৮ আইনের ১৭ ধারায় বিশেষ করিয়া ব্যাখ্যাত হইয়াছে । ইxলণ্ডের আইনানুসারে ব্যক্তিবিশেষের অর্থাৎ মোকদ্দমায় লিপ্ত পক্ষ বিপক্ষের আচরণ এবং কার্য্যপ্রণালী স্বীকার বাক্যের ন্যায় গৃহীত হয় । এই আইনের ১৭ ও ১৮ ধারায় স্বীকার বাক্যের যে লক্ষণ নির্ণীত হইয়াছে তাহার ভাবে আচরণ বা কাৰ্য্যপ্রণালী স্বীকার বাক্যের অন্তর্গত করা হয় নাই । গুডিব-কৃত নিদর্শনতত্তের ৪৯৯ পৃষ্ঠা দুষ্টব্য । এই আইনের ১১ ধারার বিধানানুসারে মোকদ্দমার সংসৃষ্ট ব্যক্তিবিশেষের আচরণ, কার্য্যপ্রণালী এবং চরিত্র সম্বন্ধে নিদর্শন গ্রহণ করা যাইতে পারে। স্বরূপতা বিবেচনা করিলে আচরণ ইত্যাদি স্বীকার বাক্য রূপে গৃহীত না হইয়া তত্তং বিষয়ের নিদর্শন গ্রহণের প্রথাই যুক্তি ও ন্যায়-সঙ্গত। আচরণ ও কাৰ্য্যপ্রণালী ফৌজদারী মোকদ্দমায় অপরাধের সম্ভাব্যতা ব্যতিরেকে নিশ্চয়তা প্রদর্শন করিতে পারে না । আদালতের মোকদ্দমাতেও বৃত্তান্ত অবধারণ সম্বন্ধে চরিত্র ও আচরণাদি অতিরিক্ত ফল প্রদান করিতে পারে না । এই সম্বন্ধে বাধাবিষয়ক ৮ অধ্যায় দুষ্টয়া।