পাতা:নিদর্শনতত্ত্ব.pdf/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮৭২ সালের ১ আইন । $్స পারিব, প্রবৃত্তিদায়ী ব্যক্তি ক্ষমতাপন্ন লোক হওয়া প্রযুক্ত অভিযুক্ত ব্যক্তির মনে এমত অনুমান করিবার যুক্তিসিদ্ধ কারণ আছে, আদালতের এইরূপ বিবেচনা থাকিলে ঐ ব্যক্তির সেই অপরাধ স্বীকার অপ্রাসঙ্গিক হয়। ফৌজদারীর কার্য্যবিধান অাইন অর্থাৎ ১৮৭২ সালের ১০ আইনের ৩৪২ ধারার বিধানানুসারে ( পুরাতন আইন অর্থাৎ ১৮৬১ সালের ২৫ আইনের ২৯২ ধারা ) মাজিস্ট্রেট সাহেব মোকদ্দমা চলিবার যে কোন সময়ে হউক, সময়ে সময়ে আবশ্যক মত অভিযুক্ত ব্যক্তির পরীক্ষা ও তাঁহাকে আবশ্যকীয় প্রশনাদি জিজ্ঞাসা করিতে পারেন। ৩৪৩ ধারার বিধানানুসারে ১৮৬১ সালের ২৫ আইনের ২-২ ধারার শেষ ভাগ ) অভিযুক্ত ব্যক্তি কোন প্রশ্নেরই উত্তর দিতে অসমত বা অস্বীকৃত হইলে বা মিথ্যা উত্তর দিলে তজ্জন্য সে দণ্ডনীয় হইবে না । ৩৪৪ ধারার বিধান মতে (পূৰ্ব্ব আইনের ২-১ ধারা ) অভিযুক্ত ব্যক্তি যে কথা জানে, কোন অঙ্গীকার বা ভয় প্রদর্শন বা অন্য কোন প্রকারে তাহার সেই কথা প্রকাশ করাইবার বা গোপন রাখিবার প্রবৃত্তি জন্মাইতে হইবে না। ঐশ্ৰীমতী মহারাণী বঃ রামধন সিংহ ও পালটু সিংহ দিগর (১ সদরলণ্ড উঃ রিঃ ফৌজদারী নজীর) এই মোকদ্দমায় অবৈতনিক মাজিষ্ট্রেট মেঃ রেট সাহেব যিনি মোকদ্দমা চালাইবার জন্য নিযুক্ত হইয়াছিলেন তিনি আসামীকে এইরূপ আশ্বাস দিয়াছিলেন যে, মাজিষ্ট্রেট সাহেবের নিকট অপরাধ স্বীকার করিলে সে মুক্তি পাইবে । হাইকোর্ট আসামীর স্বীকার উক্তি পরিত্যাগ করত মোকদ্দমার বিচার করেন এবং রেট সাহেব অন্যায় ও অবিবেচনার কর্ম করিয়াছেন বলিয়া অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। ইংলণ্ডের আইনানুসারে আসামীকে কোন কথা জিজ্ঞাসা করার পূৰ্ব্বে তাহাকে সত্তক করিতে হয়। “ তুমি এখন যে কথা বলিবে তাহা তোমার বিরুদ্ধে প্রমাণ বলিয়া গণ্য হইবে ” এইরূপ সতর্ক করার বিধান আছে। মপন্থলের একজন মাজিষ্ট্রেট একটি সাহেবের বিরুদ্ধের ফৌজদারী মোকদ্দমায় প্রথম স্থানীয় তদন্তের কার্য্য করিয়া হাইকোর্টে বিচারার্থ প্রেরণ করিয়াছিলেন । আসামীকে পরীক্ষা করার পূৰ্ব্বে উল্লিখিত নিয়মানুসারে সতর্ক করা হইয়াছিল