পাতা:নির্জ্জন গৃহকোণে.pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাই-বোন বিপুল শরীর শূন্যে নিক্ষেপ করে ভবতারণ চীৎকার করে উঠলেন, ছিঃ ছিঃ, সুরুয়ায় কি ভয়ানক মুন দিয়েছে, অ’ স্বরবালা, তোমাদের কি আক্কেল-বিবেচনা সব লোপ পেয়েছে ? সারা দেহ চাদরে আবৃত করে শুধু মুখখানি বার করে তীক্ষ তিক্ত কণ্ঠে ভবতারণ আবার বলতে লাগলেন, মুন খেলে ব্লাড প্রেসার বাড়ে, ডাক্তার যে পই-পই করে বলে দিয়েছে। তারপর চাদরটা গা থেকে সম্পূর্ণ খুলে ফেলে, হটু ওয়াটার ব্যাগ, বালিশগুলো সব মেঝেতে ফেলে দিয়ে ভবতারণ অপেক্ষাকৃত নরম স্বরে বল্পেন—আমি মরি তাই চাও, না স্বরবালা ! ভবতারণের চোখ বেয়ে জল পড়তে লাগল। সহিষ্ণুকণ্ঠে স্বরবালা বলে উঠল—ওকি কথা দাদা, সব গিয়ে তুমিই যে আমার সব ! কোনো কথা কি তোমার মুখে আটকায় না। ভবতারণ বল্লেন—থাকবে না কেন, ঢের আছে, কেন পুলিন ? কথা কটি অল্প বটে তবু তা সুরবালার অস্তরের মৰ্ম্মস্থলে তীব্রভাবে আঘাত করলো ! ভবতারণের অর্থস্থচক দৃষ্টি স্বরবালাকে পীড়িত করে। পুলিন সুরবালার স্বামীর নাম । স্বরবালা শাস্তকণ্ঠে বল্লে—ই, ভাইবোনের মধ্যে তুমি, আর উনি আমার স্বামী, এই আমার সম্বল । স্বরবালার কণ্ঠে করুণার আবেদন । হটু ওয়াটার ব্যাগটা মেঝে থেকে তুলে নিয়ে ভাইয়ের পায়ের তলায় রেখে দিলে স্বরবালা । ጏ ዓ