পাতা:নির্জ্জন গৃহকোণে.pdf/৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নি জঁ ন গু হ কোণে উজ্জ্বল আর স্নান—আকাশ নদী বা দিনের এই প্রাকৃতিক ইতিহাসই মলিনার জীবনের সবচেয়ে বড় কথা, মলিনার অস্তিত্ব যেন আবহাওয়ার সংবাদে দাড়িয়েছে । টেম্পারেচার-চার্ট জীবনের একমাত্র পরিবর্তনশীল বৈচিত্র্য । স্বল্পপরিসর ঘরের এক প্রান্তে মলিনার রোগশয্যা বিছানে, সেখান থেকে জনিল ও দরজা লক্ষ্য করা সহজ ; বিছানার উপর সাদা চীনেমাটির বুদ্ধমূৰ্ত্তি পড়ে রয়েছে, অসুখের স্বচনায় শৈলপতি একদিন এটা কিনে এনেছিল। প্রথম প্রথম বাগান থেকে দুচার রকম ফুল তুলে এনে শৈলপতি মলিনার মাথার দিকের টিপয়ে সাজিয়ে রাখত, ইদানিং আর সময় হয় না, মাস খানেক আগেকার ফুল ফুলদানিতে শুখিয়ে আছে। সেই টিপয়ের ওপরই এখন জমেছে ওষুধের ছোট বড় নানা রকম শিশি, থাষ্ট্রোমিটার অার টাইমপীস । মলিনা দিনে অন্ততঃ পনের ষোল বার টেম্পারেচার দেখে, তবু তো একটা কাজ, জর বাড়লে বা কমলেও সে খুলী, সেও একটা উল্লেখযোগ্য ঘটনা । টাইমপীসটা শৈলপতি সম্প্রতি কিনেছে, সাধারণ টাইমপিস নয়, নতুনত্ব আছে, পিয়ানোর সুরে ঘড়িটা বাজে। আর আছে একটা হাত অণরশী, মুপ দেখে দেখে নিজের মুখের সরল, বক্র, কুঞ্চিত রেখাগুলি মলিনার মুখ হয়ে গেছে । নাম তার মলিনা হলেও বর্ণ তার একদা উজ্জল ছিল, সে হিসাবে তার নাম হওয়া উচিত ছিল সুবর্ণা, কিন্তু ইদানিং অসুখের জন্ত মলিনার চেহারা শুধু মান নয়, পাণ্ডুর বিশীর্ণ হয়ে পড়েছে। এখানকার বড় ডাক্তার শশিশেখরবাবু, অন্ত কোথাও প্র্যাকটিস করলে হয়তো আরও নাম হোত, কিন্তু এদেশ তার ভাল লাগে তাই २ झु