পাতা:নির্জ্জন গৃহকোণে.pdf/৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নি জঁ ন গৃ ই কোণে এখানেই সারা জীবনটা কাটিয়ে দেবেন স্থির করেছেন। ঘড়ির কাটার মতো নিয়মিতভাবে তিনি প্রতিদিন মলিনাকে দেখে যান, তার উপস্থিতিতে মলিন পরম প্রশান্তি অনুভব করে, এই শান্তি শুধু মফিয়াতেই সম্ভব । সহসা সে ফিরে পায় জীবনের চাঞ্চল্য, মলিনার অন্তর আনন্দে পক্ষ প্রসারিত করে চেতনাময় যৌবনের স্বপ্নে বিভোর হয়ে পড়ে । গতানুগতিকভাবে একটা চেয়ার টেনে নিয়ে ডাক্তারবাবু মলিনার শয্যাপাশ্বে বসেন, তারপর গম্ভীরভাবে হাত দেখে নাড়ীর গতি অনুভব ক’রে কিছুক্ষণ পরে প্রশ্ন করেন, রাতে ঘুম হয়েছিল ? তারপর সেই ব্যথাটা একটু কম ছিল ত? এর পর মলিনার উত্তরের ওপর নির্ভর করে ডাক্তারবাবুর দুটি বাধা কথা বেশ কিংবা ‘ক’, প্রতিদিন একই কথার পুনরাবৃত্তি, কিন্তু সৰ্ব্বদাই নূতন শক্তি, বিশ্বাস ও নির্ভরতায় পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে মলিন । এ সময়টায় শৈলপতি নিয়মিতভাবে ঘরে উপস্থিত থাকে, জানলার d ধারে দাড়িয়ে উদাসভাবে সিগ্রেটের কুগুলীকৃত ধোয়ার অন্তরালে নিজের বিচ্ছিন্ন চিস্তাস্থত্রের সন্ধান করে, কখনও আবার মলিনার বিছানায় কাছে এসে অসংলগ্ন দুটো একটা কথা কিংবা রসরহস্ত করে, হেসে ওঠে, কখনও বা ছোটখাট জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখে ৷ শৈলপতির এ একটা কাজ । মলিনা কিন্তু ঠিক এ সময়ে তার উপস্থিতিতে আনন্দিত হোত না, মাথার কাছে যেন গুঞ্জনরত মক্ষিকার ভীতিজনক উপস্থিতি। এই অতি-ব্যস্ততার ভাণ তাকে আহত করে । মেয়েদের মত ক্ষিপ্রতায় শৈলপতি নিজের হাতে সব গুছিয়ে তবে বেরোত, সব কাজ সে এমন সহজভাবে করতো যে মলিনা সময় সময় বিস্মিত হয়ে পড়তো, শৈলপতির কোনো কাজেই ও লাগছে না, এর (ی\