পাতা:নির্বাসিতের আত্মকথা - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ পরিচ্ছেদ DS) কয়েদীদের মনের ভাব শেষে কর্তৃপক্ষেরও অগোচর রহিল না । ইংরেজ যে যুদ্ধে হারিতেছে না একথা প্ৰমাণ করিবার জন্য জেলের সুপারিনটেনডেন্ট আমাদিগকে বিলাতের টাইমস পত্রের সাপ্তাহিক সংস্করণ পড়িতে দিতেন। কিন্তু টাইমসের কথা বিশ্বাস করাও ক্রমে দায় হুইয়া উঠিল। টাইমসের মতে ইংরাজ ও ফরাসী সৈন্য প্রত্যহ যত মাইল করিয়া অগ্রসর হইতেছিল, মাস কতক পরে তাহ যোগ দিয়া দেখা গেল যে তাহা সত্য হইলে ইংরাজ ও ফরাসী সৈন্যের জন্মানী পার ভাইয়া পোলাণ্ডে গিয়া উপস্থিত হওয়া উচিত ছিল ; অথচ, পোল্যাণ্ড ত দূরের কথা, রাইন নদীর কাছাকাছি হওয়ার কোন সংবাদ পাওয়া যাইতেছে না। সাধারণ কয়েদীরা ইংরাজের স্বপক্ষে কোন কথা কহিলে একেবারে খাপ্পা গুইয়া উঠিত। কৰ্ত্তারা যে মিথ্যা খবর ছাপাইয়া তাহাদের পট্টি দিতেছে। এ বিষয়ে আর কাহারও সন্দেহ মাত্ৰ छ्लि झ्न ! নূতন নূতন যে সমস্ত কয়েদী দেশ হইতে আসিতে লাগিল, তাহারা নানা প্ৰকার অদ্ভুদ গুজব প্রচার করিয়া চাঞ্চল্য আরও বাড়াইয়া তুলিল এক দল আসিয়া আমাদের সংবাদ দিল যে তাহারা বিশ্বস্তসূত্রে দেশ হইতে শুনিয়া আসিয়াছে যে এমডেন পোটব্লেয়ারের জেলখানা ভাঙ্গিয়া দিয়া রাজনৈতিক কয়েদীদের লইয়া চলিয়া গিয়াছে। আমাদিগকে সশরীরে সেখানে উপস্থিত দেখিয়াও তাহারা বিশ্বাস করিতে চাহিল না। যে গুজবটা মিথ্যা ! তাহারা যে ভাল লোকের কাছে ও কথাটা শুনিয়াছে! শ্রীতির চেয়ে প্ৰত্যক্ষটা ত আর বড় প্রমাণ নয়! “ፕ" ক্ৰমে পাঠান ও শিখ পণ্টিনের অনেক লোক বিদ্রোহের অপরাধে পোটব্লেয়ারে আসিয়া পৌছিল। তাহদের কেহ কেহ ফ্রান্স, কেহ বা মেসোপোটোমিয়া হইতে আসিয়াছে। পাঠানদের মুখে মুখে এনভার