পাতা:নির্বাসিতের আত্মকথা - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ਫ਼ 2 || রাজনৈতিক মতামত লইয়া মাঝে মাঝে সুপারিন্টেডেণ্টের সহিত আমাদের তর্ক-বিতর্ক হইত। বলা বাহুল্য ইংরেজ গবৰ্ণমেণ্টের মহিমা প্রচার করাই তাহার উদ্দেশ্য। স্ত্রীলোক ও রাজপুরুষের সহিত তর্ক উপস্থিত হইলে হারিয়া যাওয়াই ভদ্রতাসঙ্গত; কিন্তু সে কথা জানিয়াও আমরা মাঝে মাঝে দুই চারিটা অপ্ৰিয় সত্য কথা বলিয়া ফেলিতাম । যেখানে গায়ের ঝাল মিটাইবার অন্য উপায় নাই, সেখানে জিহবা সঞ্চালন ভিন্ন আর কি করা যায় ? রুসিয়ায় তখন বিপ্লব আরম্ভ হইয়া গিয়াছে, একদিন জেলার আমায় ডাকিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন ‘সুরারিন্টেণ্ডেণ্ট যে তোমাদের সঙ্গে অতিক্ষণ ধরিয়া তর্কবিতৰ্ক করেন, তা’র কি কারণ বলিয়া মনে হয় ?” আমি বলিলাম-“কি জানি, সাহেব ? স্বজাতির গুণগান করা ছাড়া আর যদি কোন গৃঢ় উদ্দেশ্য থাকে ত বলিতে পারি না।” জেলার বলিলেন--“এ কথা বোধ হয় জানি যে ছয় মাস অন্তর ইণ্ডিয়া গবর্ণমেণ্টের কাছে তোমাদের প্রত্যেকের সম্বন্ধে এক একখানি করিয়া রিপোর্ট যায়। তোমরা সুপারিন্টেণ্ডেণ্টের কাছে যে মতামত প্ৰকাশ কর তিনি সেগুলি নোট করিয়া রাখেন, আর তাহার উপর নির্ভর করিয়াই রিপোর্ট প্ৰস্তুত হয়। চারিদিকে যেরূপ হুলস্থূল কাণ্ড বাধিয়া গিয়াছে,