পাতা:নির্বাসিতের আত্মকথা - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

६• পরিচ্ছেদ Ş o\O- তাহাতে ইংরেজ যদি হারে, ত ল্যাঠা চুকিয়াই গেল ; আর যদি জয়ী হয় ত আনন্দের প্রথম ধাক্কায় তোমাদের ছাড়িয়াও দিতে পারে। ইংরেজ রাজত্বটা যে কি, তাহা আমি আইরিশ, সুতরাং ভাল করিয়া বুঝি। জেলখানার ভিতর সব সময় পেটের কথা মুখে আনিয়া লাভ নাই।” ভাবিয়া দেখিলাম, কথাগুলো ত ঠিক । জেলখানাটা ঠিক বক্তৃতা দিবার জায়গা নয়। শত্রুর মুখ হইতেও উপদেশ শাস্ত্ৰমতে গ্ৰাহা ; সুতরাং জিঙ্কবাটা সেই সময় হইতে অনেক কষ্টে সংযত করিয়া ফেলিলাম। সুপারিন্টেণ্ডেণ্ট মাঝে মাঝে যুদ্ধের বিষয় লইয়া আলোচনা করিতেন । জাৰ্ম্মণী যে কি ভীষণ রকম পাজি তাহাই তাহার প্রতিপাদ্য । আমরাও এক বা কো জাৰ্ম্মণীর পাজিত্ব স্বীকার করিয়া লইয়া তাহাকে জানাইয়া দিলাম যে মরিবার পর জাৰ্ম্মণী নিশ্চয় নরকে যাইবে। দেবালোকে ইংরাজের পাশ্বে স্থান পাইবার তাহার কোনই সম্ভাবনা নাই। ইংরাজচরিত্রে একটা কেমন সঙ্কীর্ণতা আছে--সে কোন জিনিষের নিজের দিক ছাড়া পরের দিক সহজে দেখিতে পায় না। তেত্রিশ কোটি ভারতবাসী যে চিরদিন ইংরেজের আশ্রয়েই থাকিতে চায় এ কথা বিশ্বাস করিবার জন্য ইংরেজের প্রাণ একেবারে লালায়িত ! ভাৱতে ইংরেজ রাজত্ব যে আদর্শ শাসনযন্ত্রের খুব কাছাকাছি এ বিষয়ে তাহদের বড় একটা সন্দেহ নাই । কিন্তু এ বিশ্বাস সুপারিন্টেণ্ডেণ্ট সাহেবের শেষ পর্যন্ত ছিল বলিয়া মনে হয় না। যুদ্ধের সময় তা বেচারা প্ৰাণপণ করিয়া পরিশ্রম করিলেন, কয়েদীর খরচ কমাইয়া সরকারী তহবিলে অনেক টাকা জমা দিলেন ; কিন্তু যুদ্ধ শেষ হইবার পর নিজের একমাত্র শিশু কন্যাকে বিলাতে রাখিয়া । আসিবার জন্য যখন ছয় মাসের ছুটী চাহিলেন তখন ছুটী আর মিলিল না ! আবেদনের পর আবেদনের যখন কোনও উত্তর পাওয়া গেল না। তখন