পাতা:নির্বাসিতের আত্মকথা - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

६ां* *ब्रिष्छा So& “পর পোর্টব্লেয়ারে গিয়াছিল তাহদের সকলকেই সেখানে একে একে মরিতে হইয়াছে। থিবীর সহিত যুদ্ধের পর যে সমস্ত ব্ৰহ্মদেশীয় কয়েদী আসিয়াছিল তাহারাও কেহ ছাড়া পায় নাই। আজ আমাদের জন্য যে ইণ্ডিয়া গবৰ্ণমেন্টের ইতিহাসে নৃতন অধ্যায় আরম্ভ হইবে একথা সহস্যবিশ্বাস করিতে সাহস হইল না। কিন্তু না বিশ্বাস করিয়াই বা করি কি ? প্ৰাণ যে ফুলিয়া ফুলিয়া হঁপাইয়া উঠিতেছে। ক্ৰমে জৰ্ম্মণীর সহিত সন্ধিপত্ৰ: স্বাক্ষরিত হইল । ইংলণ্ডে বিজয় উৎসব ফুরাইয়া গেল। কিন্তু কই, কয়েদী ত ছাড়িল না। যুদ্ধ বন্ধ হইবার পর হইতেই দিন গণনা আরম্ভ করা গিয়াছে ; দিন গণিতে গণিতে সপ্তাহ, সপ্তাহ গণিতে গণিতে মাস, ক্ৰমে মােস গণিতে গণিতে বৎসর ফুরাইয়া গেল ; কিন্তু বিড়ালের ভাগ্যে শিকা ছিড়িল না । খবরের কাগজে কিন্তু পড়িয়াছিলাম যে অক্টোবর মাসে ভারতবর্ষে বিজয় উৎসব হইবে সুতরাং মনের কোণে একটু আশা রহিয়াই গেল। ভারতে যখন বিজয় উৎসব স্কুরাইয়া গেল তখন মনটা ছটফট করিতে আরম্ভ করিল-খবর বুঝি এই আসে, এই আসে ! শেষে ইণ্ডিয়া গবর্ণমেণ্টের নিকট হইতে খবরও একদিন আসিল। সুপারিনটেনডেন্ট আমাদের অফিসে ডাকাইয়া শুনাইয়া দিলেন যে সরকার বাহাদুর কৃপক্ষপরবশ হইয়া আমাদিগকে বৎসবে একমাস করিয়া মাফ দিয়াছেন।- ব্যোম ভোলানাথ ! এত দিনের আশা এক ফুৎকারে উড়িয়া গেল । তখন দেখিলাম যে পাের্ট ব্লেয়ারে জীবনের বাকী কয়টা দিন কাটান ছাড়া আর উপায়ান্তর নাই। তাই যদি করিতে হয় তা ভূতের বেগার আর খাটিয়া মারি কেন ? চিফ কমিশনারের নিকট আবেদন করিলাম যে সমস্ত মাফ লইয়া যখন আমাদের ১৪ বৎসর পূর্ণ হইয়াছে তখন সরকারী প্ৰতিশ্রুতি অনুসারে আমাদের জেলের কাজকৰ্ম্ম হইতে