পাতা:নির্বাসিতের আত্মকথা - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

चामे 2ब्रििgघ्छा So দুই দিন কাটিয়া গেল। দল বাধিয়া ২৬ জন জেল হইতে বাহির হইলাম। তখনও কাহারও কাহারও পায়ে বেড়ী বাজিতেছে। জেলের বাহির হইয়াই শিখেরা আকাশ পাতাল কঁপাইয়া চীৎকার করিয়া উঠিল—“ওমা গুরুজী কি ফতো।” তাহার পর গান আরম্ভ হইল - 'क्षुछ १छ उि5] मधोंgभग्न '&a যিন চিড়িয়াসে বাজ তোড়ায়ে-” ( হে পিতঃ, হে দশম গুরু। চটক দিয়া তুমি বাজ শিকার করাইয়াছিলে ; তুমি ধন্য!) আজ আবার চটক দিয়া বাজ শিকার করিবার দিন আসিয়াছে তাই ঐ সঙ্গীতের তালে তালে আমাদের প্রাণও নাচিয়া উঠিল। মনে মনে বলিলাম--“হে ভারতের ভাবী গুরু, হে ভগবানের মূৰ্ত্তিপ্ৰকাশ, সমুদ্র পার হইতে তোমার দীন ভক্তের প্রণাম গ্ৰহণ কর।” তাহার পর জাহাজে চড়িয়া একবার পোর্টব্লেয়ারের দিকে শেষ দেখা দেখিয়া লইলাম। Wordsworth এর কবিতা মনে পড়িল “What man has made of man." জাহাজ তিন দিন ধরিয়া ছুটয়াছে; মনটা তাহার আগে আগে চুটিয়াছে। ঐ সাগর দ্বীপে বাতি জ্বলিতেছে, ঐ রূপনারায়ণের মোহনা। আজই খিদিরপুরের ঘাটে জাহাজ গিয়া পৌছিবে! না—জাহাজ ত কৈ ডুবিল না ! এ যে সত্য সত্যই ঘাটে আসিয়া লাগিল। পুলিশ প্রহরী আমাদের সঙ্গে লইয়া আলিপুরের জেলের দিকে 5निनँ l আবার আলিপুরের জেল-কিন্তু সে চেহারা আর নাই। আমাদের শুভাগমন বার্তা সুপারিন্টেণ্ডেণ্ট সাহেবের কাছে গেল । আমাদের কাছে যা কিছু জিনিষ পত্র ছিল প্রহরীরা আসিয়া তাহা বুঝিয়া লইল ।