পাতা:নির্বাসিতের আত্মকথা - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ ১৩ জন্য ব্যন্ত হইয়া পড়িয়াছিল ; কাজ কৰ্ম্ম তাহার। আর ভাল লাগিতেईिल ना । প্ৰথমেই গিয়া আলাহাবাদে একটা প্ৰকাণ্ড ধৰ্ম্মশালায় দুই চারিদিন পড়িয়া রহিলাম। বাজারের পুরি কিনিয়া খাই, আর লম্বা হইয়া থাকি । মাঝে মাঝে এক একবার উঠিয়া এ সাধু ও সাধুর কাছে ঢু মারিয়া বেড়াই। মাঝে একজন স্থানীয় বন্ধু জুটিয়া আমাদের “বুসি’ দেখাইতে লইয়া গেলেন। সেখানে দেখিলাম-গঙ্গার ধারে শিয়ালের মত গৰ্ত্ত খুড়িয়া দুই চারিজন সাধু সেই গৰ্ত্তের মধ্যে বাস করিতেছেন। এক জায়গায় দেখিলাম, একটী সিন্দুর-মাখান রাম-মূৰ্ত্ত ; সন্মুখে ভক্ত-প্রদত্ত চার পাঁচটী পয়সা, আর পাশেই একটী ছাইমাখা সাধু হাঁপানিতে ধুকিতেছেন। শুনিলামমাটীর নীচে সাধুদের সাধন-ভজনের জন্য অনেকগুলি ঘর আছে; কিন্তু আমাদের বন্ধুটীর নিকট সাধনের যে রকম বীভৎস বর্ণনা শুনিলাম, তাহাতে দেবব্রতরও সাধু দর্শনের আগ্ৰহ অনেকটা কমিয়া গেল। : প্ৰয়াগ হইতে বিন্ধ্যাচলে আসিয়া এক ধৰ্ম্মশালায় কিছুদিন পড়িয়া রহিলাম। মাঠের মাঝখানে একখানি ছোট কুঁড়ে ঘর বঁাধিয়া এক জটাজুটধারী সাধু সেখানে থাকেন। প্ৰণাম করিয়া তাহার কাছে বসিবামাত্র তাহার মুখ হইতে অনর্গল তত্ত্বকথা ও থুথু সমান বেগে ছুটতে লাগিল। 'বাবাজী আহারাদির কোনও চেষ্টা করেন না ; তবে তাহার কাছে ভক্তেরা যা প্ৰণামী দিয়া যায়, তঁহার একজন গোয়ালা ভক্ত তাহা কুড়াইয়া লইয়া গিয়া তাহার পরিবর্তে সাধুকে দুধসাগু তৈয়ার করিয়া দেয়প। ঐ দুধসাগু খাইয়াই তিনি জীবনধারণ করেন। খুধু ও তত্ত্বকথা সংগ্ৰহ করিয়া ধৰ্ম্মশালায় ফিরিয়া আসিয়া দেখি, এক গেরুয়া-পরিহিতা ত্রিশূলধারিণী ভৈরবী আমাদের কম্বল দখল করিয়া বসিয়া আছেন। দেবব্রত ব্ৰহ্মচারী মানুষ, স্ত্রীলোকের সহিত একাসনে বসে না ; সে তি