পাতা:নির্বাসিতের আত্মকথা - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ SG তাস্থদের বুঝাইলাম। কিন্তু তাহারী ছিনেজেকের মত আমাদের সঙ্গে লাগিয়াই রহিল । তাহদের হাত হইতে নিষ্কৃতি পাইবার আশায় আমরা পাণ্ডাদের আস্তানা ছাড়িয়া নদীর ধারে একটা পোড়ো ঠাকুরবাড়ীতে আসিয়া আডা গাড়িলাম। কিন্তু পাণ্ডাদের অদ্ভুত অধ্যবসায়। পােচ সাত জন আমাদের ঘিরিয়া বসিয়া রহিল। তার্থে আসিয়া ঠাকুর দশন করে না- এ আবার কেমন তীর্থযাত্রী ? তিন চার ঘণ্টা বসিয়া থাকিবার পর গালি দিতে দিতে একে একে সকলেই পৃষ্ঠ-প্ৰদৰ্শন করিল --কেবল একটা ১০।১২ বছরের ছোট ছেলে নাছোড়বান্দা । সে তখনও বক্তৃতা চালাহতে লাগিল। একখানি হাত আপনার পেটের উপর রাপিয়া আর একখানি হাত দেবব্রতর মুখের কাছে ঘুরাইয়া বলিল“দেখ বাবু। --যে ! জীবাত্মা সেই পরমাত্মা । আমাকে খাওয়ালেই পরমাত্মার সেবা করা হবে।" পেটের জ্বালার সঙ্গে পরমার্থের এরূপ ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধের কথা শুনিয়া দেবব্রত হাসিয়া ফেলিল। বলিল-“দেখ তোর কথাটার দাম লাখ টাকা। তবে আমার কাছে এখন অত টাকা নেই বলে তোকে এ যাত্রা একটা পয়সা নিয়েই বিদায় হতে হবে।” জীবরূপী পরমাত্মা তাহাই লইয়া প্ৰস্থান করিল। যে ঠাকুর বাড়ীতে আমরা পড়িয়া রহিলাম, তাহার চারিদিকে আছে গাছে বানর ছাড়া আর কোন জীবের দেখা সাক্ষাৎ পাওয়া যাইত না । সেখান হইতে প্ৰায় এক মাইল দূরে রেওয়ার রাজা বৈষ্ণব সাধুদের জন্য একটা মঠ তৈয়ারি করিয়া দিয়াছেন। সেখানে “আচারী” ও “বৈরাগী” প্রধানতঃ এই দুই সম্প্রদায়ের বৈষ্ণব সাধুরা থাকেন। তঁহাদের দুই একজনের সঙ্গে মাঝে মাঝে দেখা সাক্ষাৎ হইত। একদিন সকাল বেলা বসিয়া আছি। এমন সময় সেখানে একজন সন্ন্যাসী আসিয়া উপস্থিত। তিনি যুবা পুরুষ ; বয়স আন্দাজ ৩২৪৩৩ ;