পাতা:নির্বাসিতের আত্মকথা - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

निदर्दनिऊद्ध उधांजूर था । של হইবার সময় প্রায়ই দল বঁাধিয়া বাহির হন। এই নিৰ্ম্মদা-পরিক্রম আমার বড়ই অদ্ভুত ব্যাপার বলিয়া মনে হইল। অমরকণ্টক হইতে আরম্ভ করিয়া পদব্ৰজে নৰ্ম্মাদার ধারে ধারে গুজরাত পৰ্য্যন্ত যাইতে ও গুজরাত হইতে পুনরায় নৰ্ম্মাদার অপর পার ধরিয়া অমরকন্টকে ফিরিয়া আসিতে চার পাঁচ বৎসর লাগে। কত সাধুই যে এই কাজ করিতেছেন তাহার ইয়ত্তা নাই। কোন কোন স্ত্রীলোককে গণ্ডি খাটিতে খাটিতে নৰ্ম্মদ পরিক্রম করিতে দেখিয়াছি । ফল কি হয় জানি না ; তবে এইটুকু মনে বিশ্বাস রাখিয়া গিয়াছে যে তাহদের শ্রদ্ধা ও নিষ্ঠার শতাংশের একাংশ পাইলে আমরা মানুষ হইয়া যাইতাম । অমরকন্টকের চারিধারে ১০-১২ ক্রোশ পৰ্যন্ত বনে জঙ্গলে ঘূরিলাম। পুরাতন সংস্কৃত গ্রন্থে চণ্ডাল পল্লীর যে রকম বিবরণ পাওয়া যায় সেরূপ কতক গুলি পল্পীও দেখিলাম। সেখানকার পালিত কুকুরগুলি প্ৰায় একক্রোশ আমাদের তাড়া করিয়া আসিয়াছিল । নদীর ধার ধরিয়া ছুটিতে ছুটিতে এক জায়গায় বাঘের পায়ের ছাপ ও সন্ত-নিস্ত রক্ত চিহ্ন ও দেখিলাম । ভবিষ্যতে আন্দামানে যাইতে হইবে সে " কথা যদি তখন জানিতাম, তাহা হইলে ছুটয়া পলাইবার চেষ্টা না করিয়া বাঘের আশাস্ত্র সেইখানেই বসিয়া থাকিতাম ! কিন্তু সে যাত্ৰা বাঘও দেখা দিল না। আর ঘূরিয়া ঘুরিয়া আমাদের আশ্রমের উপযোগী স্থানও কোথা মিলিল না। পাহাড় হইতে অগত্যা নামিতে হইল। নামিয়াই দেখিলামবারীনের চিঠি বলিতেছে “শীঘ্ৰ ফিরিয়া এস।” ད།