পাতা:নির্বাসিতের আত্মকথা - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ। wammiraMWYNWYMnamanao বারীনের চিঠি পাইয়াই তল্পি তলপা গুছাইয়া রওনা হইলাম। তলপির মধ্যে লোটা কম্বল আর তলপার মধ্যে একগাছা মোটা লাঠি ; সুতরাং বেশী দেরি হইবার কোনও কারণ ছিল না । বাগানে ফিরিয়া আসিয়া দেখিলাম, একেবারে “সাজ, সাজ’ রব পড়িয়া গিয়াছে। যে সমস্ত নূতন ছেলে আসিয়া জুটিয়াছে, উল্লাসকর তাহদের মধ্যে একজন । প্রেসিডেন্সী কলেজের রসেল সাহেব বাঙ্গালীর ছেলেদের গালি দিয়াছিল বলিয়া উল্লাসকর একপাটী ছেড়া চটিজুতা বগলে পুরিয়া কলেজে লইয়া যায় ; এবং রসেল সাহেবের পিঠে তাহা সজোরে বখশিস দিয়া কলেজের মুখদর্শন বন্ধ করিয়া দেয়। তাহার পর কিছুদিন বোম্বায়ের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ঘুরিয়া আসিয়া দেশ গরম হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাগানে আসিয়া পৌঁছিয়াছে। সে সময় কিংসফোর্ড সাহেব একে একে সব স্বদেশী কাগজওয়ালাদের জেলে পুরিতেছেন । পুলিসের হাতে এক তরফ মারা খাইয়া দেশসুদ্ধ লোক হঁফাইয়া উঠিয়াছে। যাহার কাছে যাও, সেই বলে—“না, এ আর চলে না ; ক’ বেটার মাথা উড়িয়ে দিতেই হবে।” তথাস্তু। পরামর্শ করিয়া স্থির হইল যখন সাহেবদের মধ্যে আণ্ড, ফ্রেজারের মাথাটাই সব চেয়ে বড়, তখন তাঁহারই মুণ্ডপাটতর ব্যবস্থা আগে করা দরকার। কিন্তু লাট সাহেবের মাথার নাগাল পাওয়া ত সোজা কথা নয়! ডিনামাইট কাটিজ লাটসাহেবের গাড়ীর তলায় রাখিয়া দিলে কাজ চলিতে পারে। কিনা তাহ পরীক্ষার জন্য চন্দননগর ষ্টেসনের কাছাকাছি রেলের উপর গোটা কয়েক ডিনা