পাতা:নির্বাসিতের আত্মকথা - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ পরিচ্ছেদ। userra সাধু চলিয়া যাইবার পর আবার ভাঙ্গা মন জোড়া দিয়া কাজ কৰ্ম্মে লাগিয়া গেলাম। আমরা তখন স্থির করিয়াছিলাম যে দেশময় নিজেদের কেন্দ্ৰ স্থাপন করিয়া দেশের শক্তি বেশ সংহত করিয়া তাহার পর ' বিপ্লবের কাৰ্য্য আরম্ভ করিয়া দিব । কিন্তু দেশের লোকের মাথায় তখন খুন চাপিয়াছে। সুদূর আদর্শের দিকে লক্ষ্য রাখিয়া নীরবে সমস্ত লজ্ব, অপমান, নিৰ্য্যাতন সন্থ করা যে কত কঠোর সাধনা সাপেক্ষ তাহা ভুক্তিভোগী ভিন্ন কেহ বুঝিবে না। দেশের সে শিক্ষা তখনও হয় নাই ;- ७थन& शंशेनi८छ् कि ? i - অর্থ সংগ্ৰহ করা ক্ৰমে বিষম দায় হইয়া উঠিল। কাজ বাড়িতেছে ; ছেলের সংখ্যাও বাড়িতেছে--কিন্তু টাকা কোথায় ? এক আধজন ধন্যবান কাপ্তেন না পাকড়াইলে ত আর কাজ চলে না! কিন্তু তাঁহাদের তুষ্ট করিতে গেলে এক আধটা বড় লাট বা ক্ষুদে লাটের ঘাড়ে বোমা ফেলিতে হয় ! যাতায়াতের ব্যয় সঙ্কোচ করিবার জন্য বোমার আডা দেওঘর । হইতে কলিকাতায় উঠাইয়া আনা হইল। সেখানে যাহাতে লোকের গতিবিধি কম হয় ও পুলিসের নজর না পড়ে সেই জন্য ভবানীপুরে আর একটী বাড়ীতে পুরান ছেলেদের রাখিয়া দিবার ব্যবস্থা করা হইল। বাগানে রহিল প্ৰধানত: নূতন ছেলেরা। " কিন্তু শত চেষ্টায় ও পুলিসের দৃষ্টি আমরা এড়াইলাম না।