পাতা:নির্বাসিতের আত্মকথা - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లి নির্বাসিতের আত্মকথা । পুলিশী যে আমাদের সন্দেহ করিয়াছে একখা মনে করিবার নানা । কারণ ঘটতে লাগিল। দেখিলাম বাগানের আশে পাশে রকম বেরকমের" অজানা লোক ঘুরিতেছে। রাস্তা, চলিবার সময়ও দুই একজন পিছে পিছে চলিয়াছে। একদিন চলিতে চলিতে ফিরিয়া দেখিলাম এক জোড়া প্ৰকাণ্ড গােঁফের উপর হইতে দুইটা গোল গোল চােখ আমার দিকে প্যাট পাট করিয়া চাহিয়া রাছে। যেদিকে যাই, চােখ দুটা আমার পিছে পিছে ছুটিতে লাগিল। শেষে ভিড়ের মধ্যে মিশিয়া গিয়া সে দিন কোনরূপে সে শনির দৃষ্টি হইতে নিস্কৃতি পাইলাম। মাণিকলার সবইন্সপেক্টর বাবুও মাঝে মাঝে বাগানে আসিয়া আমাদের সহিত আলাপ করিয়া যাইতেন, কিন্তু আমরা তঁহাকে বৃথাই সন্দেহ কারিতাম। তিনি ‘বাগানটীতে শেষ পৰ্যন্ত ব্ৰহ্মচারীর আশ্রম दलिझाशे ऊानिgङन् । এই রকমে আরও একটা মাস কাটল। শেষে মোজাফরপুরে বোমা পড়িবার সঙ্গে সঙ্গেই বাগানের পরমায়ু ফুরাইল । 紫 # 柴 সে দিনের কথা আমার চিরকালই মনে থাকিবে । একে বৈশাখ মাস, দারুণ রৌদ্র। তাহার উপর সমস্ত দিন টাে টাে করিয়া ঘুরিয়া ঘূরিয়া যখন সন্ধ্যার পর বাগানে ফিরিয়া আসিলাম, তখন হাত, পা এবং পেট সকলেই সমস্বরে আমাকে বাপান্ত করিতে আরম্ভ করিয়াছে। স্বয়ং যমরাজ যদি তাহার মহিষটার স্কন্ধে চড়িয়া আমাকে তখন তাড়া করিয়া আসিতেন তাহা হইলে আমি এক পা নড়িয়া বসিতাম।" কিনা ৷ সন্দেহ। সকলেরই প্ৰায় ঐ এক দশা । কিন্তু পেটের জ্বালা বড় জ্বালা ; দুটী রাধিয়া না খাইলে নয়। আমাদের ত আর রাধুনী বা চাকর ছিল না যে ঘুরিয়া আসিয়া বাড়া ভাতের থালে বসিয়া যাইব। ভাত রাধা,