পাতা:নির্বাসিতের আত্মকথা - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ পরিচ্ছেদ SON) কাপড় কাচা, ঘর ঝাট দেওয়া সবই আমাদের নিজের হাতে চরিতে ফুইত ছেলেরা তাড়াতাড়ি রাধিতে বসিয়া গেল। আর আমরা " কল্পনার রথে চড়িয়া ভারত উদ্ধার করিতে বাহির হইলাম। কিন্তু সেদিন শনির আমাদের উপর এমন খরদৃষ্ট যে ভাত নামাইবার সময় হাঁড়ি ফাসিয়া সব ভাত মাটীতে পড়িয়া গেল। ছেলেরা হোঃ হেঃ করিয়া হাসিয়া উঠিল। , আমি বুঝিলাম সে দিন মা লক্ষ্মী আর অদৃষ্ট অন্ন লেখেন নাই। পেটে তিনটা কিল মারিয়া উপুড় হইয়া শুইয়া পড়িলাম। কিন্তু বারীন্দ্র চিরদিনই উদ্যোগী পুরুষ, দমিবার পাত্র নহেন ; তিনি সেই রাত দশটার সময় জ্বালানি কাঠের অভাবে খবরের কাগজ জ্বালাইয়া ভাত রাধিতে গেলেন । রাত এগারটার সময় ভাত খাইতে বসিতেছি এমন সময় আমাদের এক বন্ধু কলিকাতা হইতে নাচিতে নাচিতে উপস্থিত। কি সংবাদ? তিনি কোথায় শুনিয়া আসিয়াছেন যে বাগানে শীঘ্রই পুলিসের খানাতল্লাসি হইবে ; আর আমাদের বাগান ছাড়িয়া অন্যত্ৰ চলিয়া যাওয়া উচিত । তথাস্ত্ৰ ; কিন্তু এ রাতে ত ঠাং ধরিয়া টানিয়া বাহির না করিলে কেহ বাগান ছাড়িতে রাজী হইবে না । সুতরাং স্থির হইল যে কাল সকালেই সকলে আপনি আপন পথ দেখিবে । বারীন্দ্ৰ কিন্তু কয়েকজন ছেলেকে লইয়া সেই রাত্রেই কোদাল ঘাড়ে করিয়া যে দুই চারিটা রাইফেল ও রিভলভার বাহিরে পড়িয়াছিল সেগুলাকে মাটীর তলায় পুক্তিয়া রাখিয়া আসিল। আমাদের শুইতে রাত বারটা বাজিয়া গেল। 米 普 游 রাত্রি যখন প্ৰায় চারটা তখনও কতকটা গ্রীষ্মের জালায়, কতকটা মশার কামড়ে শুইয়া শুইয়া ছট্‌ফট্‌ করিতেছি। এমন সময় শুনি:::ম যে কতকগুলা লোক মদমস করিয়া সিঁড়িতে উঠিতেছে ; আর তাহার