পাতা:নির্বাসিতের আত্মকথা - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ পরিচ্ছেদ O6 জুবিকে খানাতল্লাসির সাক্ষী হুইবার জন্য পুলিসের কৰ্ত্তারা সঙ্গে করিয়া আনিয়াছিলেন তাহারা এক বিপুলকায় ইন্সপেক্টর সাহেবের পশ্চাৎ পশ্চাৎ “হুজুর, হুজুর” করিতে করিতে ছুটতেছে। পুকুর ঘাটের একটা প্ৰকাণ্ড আমগাছের তলায় আমাদের হাতবাধা ছেলেগুলা জোড়া জোড়া বসিয়া আছে ; আর উল্লাসকর তাহদের মধ্যে বসিয়া ইন্সপেক্টর সাহেবের ওজন তিন মণ কি সাড়ে তিন মণ এই সম্বন্ধে গবেষণাপূর্ণ বিচার আরম্ভ করিয়া দিয়াছে। ক্ৰমে ছয়টা বাজিল, সাতটা বাজিল ; আমি তখনও পর্দােনসিন বিবিটীর মত পর্দার আড়ালে। ভাবিলাম এ যাত্ৰা বুঝি বা কৰ্ত্তারা আমাকে ভুলিয়া যায় ! কিন্তু সে বৃথা আশা বড় আধিক্ষণ পোষণ করিতে হইল না । আমাদের অতিকায় ইন্সপেক্টর সাহেব জুতার শব্দে পাশের ঘর কঁপাইতে কঁপাইতে আসিয়া আমার ঘরের দরজা খুলিয়া ফেলিলেন। পাছে নিশ্বাসের শব্দ হয়। সেই ভয়ে আমি নাক টিপিয়া ধরিলাম। কিন্তু বলিহারী পুলিসের ভ্রাণশক্তি! সাহেব সোজা আসিয়া আমার লজ্জানিবারিণী পর্দাখানিকে একটানে সরাইয়া দিলেন । তারপরেই চারিচক্ষের মিলন-কি স্নিগ্ধ ! কি মধুর! কি প্ৰেমময় ! সাহেব ত দিগ্বিজয়ী বীরের মত উল্লাসে এক বিরাট “{{urrah" ধ্বনি করিয়া ফেলিলেন। সেই ধ্বনির সঙ্গে সঙ্গে তাহার চার পাঁচজন সাঙ্গোপাঙ্গ সেখানে আসিয়া উপস্থিত হইল। কেহ ধরিল আমার পা, কেহ ধরিল হাত, কেহ ধরিল মাথা । তাহার পর কঁধে তুলিয়া হুলুধ্বনি করিতে করিতে আমাকে একেবারে হাতবাধা ছেলের দলের মাঝখানে বসাইয়া দিল। আমার হাত বঁধিবার হুকুম হইল। যে পুলিস প্ৰতকী আমার হাত বঁধিতে গঙ্গাসিল-হরি । হরি - সে যে গু। ১৫% ; “” নমাতরম' । অফিসের ভূতপূৰ্ব্ব বেহারী ! কতকাল আমাকে বাৰু বলিয়া সেলাম