পাতা:নির্বাসিতের আত্মকথা - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম পরিচ্ছেদ sy করিয়াছি আজ রাষ্ট্র বিপ্লব করিতে গিয়া একসঙ্গে উভয়ে পুলিসের হাতে ধরাও পড়িলাম। ভবিষ্যতে যে উভয়কে একসঙ্গে শ্ৰীধাম আন্দামান বাস করিতে হইবে, তাহা তখন জানিতাম না। বান্ধবত্বের সব লক্ষণই মিলিয়াছে; বাকি আছে শুধু শ্মশানটুকু। নিমতলার ব্ৰতটুকু এখন নিমতলায় উদ্যাপন করিয়া আসিতে পারিলেই আমি নিশ্চিন্ত হই। যাক, সে ভবিষ্যতের কথা । জেলে গিয়া দুই দিন বিশ্রাম করিতে না করিতেই দেখি পণ্ডিত হৃষীকেশ বিশাল দেহভার দোলাইস্ত্রে দোলাইতে সেখানে আসিয়া উপস্থিত। তাহার সহিত মাণিকতলার বাগানের কোনও ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ ছিল না ; আমাদের কাৰ্য্যকলাপের কিছু কিছু সে জানিত মাত্র। তাহার বিরুদ্ধে বিশেষ কোন প্রমাণও ছিল ছিল না । বাগানের কাগজ পত্রের মধ্যে দু এক জায়গায় তাহার নাম পাইয়া পুলীস সন্দেহ করিয়া তাহাকে ধরিয়া ছিল। কিন্তু গঙ্গাজল চুইয়া প্ৰতিজ্ঞ ত আর বিফল হইবার নয়! তাহাকে যে আন্দামানে যাইতেই হইবে । পুলীিস যখন তাহাকে ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট লইয়া গিয়া হাজির করে তখন তাহার ব্রাহ্মণপণ্ডিতের মত গোলমাল নাদুসনুদুস চেহারা দেখিয়া ম্যাজিষ্ট্রেটের তাহাকে নিরপরাধ বলিয়াই ধারণা হইয়াছিল। কিন্তু ম্যাজিষ্ট্রেটের মুখ দেখিয়াই বন্ধুর আমার মেজাজটা একেবারে বিগড়াইয়া গেল। মহামান্য সরকার বাহাদুরের রাজ্য ও শাসন নীতি সম্বন্ধে বন্ধু আমার ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট যে সমস্ত মন্তব্য প্ৰকাশ করিয়াছিলেন তাহা আর এখানে পুনরুদ্ধৃত করিয়া এ বৃদ্ধ বয়সে বিপদে পড়বার আমার ইচ্ছা নাই। পূৰ্ব্ববঙ্গের ছোটলাট ফুলার sii.2.33 iss-Rifs (tom-foolery) আলোচনা হইতে बांद्रष्ठ করিয়া লাটি মরুলীর পিতৃ-শ্ৰাদ্ধের ব্যবস্থা পৰ্যন্ত তাহার মধ্যে সবই ছিল। পণ্ডিতজীর বক্তৃতা শুনিয়া ম্যাজিষ্ট্রেট র্তাহাকে জেলের মধ্যে এক স্বতন্ত্র