পাতা:নির্বাসিতের আত্মকথা - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম পরিচ্ছেদ 3d যাক সে কথা। অল্পদিনের মধ্যেই এক এক করিয়া পুলিস প্ৰায় ৩০৩৫ জন লোককে হাজতে টানিয়া আনিলা.। তিন চারটা কুঠরীতে তিন তিন জন করিয়া রাখিল ; বাকি সকলের জন্য পৃথক পৃথক কুঠারীর बादश्। श्ल। ধরাপড়ার উত্তেজনা সামলাইতেই প্ৰায় সপ্তাহ কাটিয়া গেল। প্ৰকৃতিস্থ হইয়া দেখিলাম একটা প্ৰায় সাত হাত লম্বা ৫ হাত চওড়া কুঠরীর মধ্যে আমরা তিনটী প্ৰাণী আবদ্ধ আছি। আমি ছাড়া দুইটাই ছেলে মানুষ ; একটার বয়স বছর কুড়ি আর একটিার বয়স পনের। প্রথমটা নলিনীকান্ত গুপ্ত-প্রেসিডেন্সী কলেজের ৪র্থ বাষিক শ্রেণীর . ছাত্র, নিতান্ত সাত্ত্বিক প্ৰকৃতির ভাল ছেলে ; আর দ্বিতীয়টিী শচীন্দ্ৰনাথ সেনা-ন্যাশন্যাল কলেজের পলাতক ছাত্র-একেবারে শিশু বা বাচ্ছা! বলিলেই হয়। সেই কুঠারীর এক কোণে শৌচ প্রস্রাবের জন্য দুইটা গামলা। তিন জনকেই সেইখানে কােজ সারিতে হয় ; সুতরাং একজনকে ঐ অবশ্য কৰ্ত্তবা অশ্লীল কৰ্ম্মটুকু করিতে গেলে আর দুই জনের চক্ষু মুদিয়া বসিয়া থাকা ভিন্ন উপায়ান্তর নাই। কুঠরীর সামনে একটা ছোট বারান্দা, সেইখানে হাত মুখ ধুইবার ও স্নানাহার করিবার ব্যবস্থা। বারান্দার সামনে সরু লম্বা উঠান আর তাহার পরেই অভ্ৰভেদী প্রাচীর। প্রাচীরটা ছিল আমাদের চক্ষুশূল । সেটা যেন অহরহঃ চীৎকার করিয়া বলিত,-“তোমরা কয়েদী, তোমরা কয়েদী । আমার হাতে যখন, পড়িয়াছ, তখন আর তোমাদের নিস্তার নাই ।” প্রাচীরের উপর দিয়া থানিকটা আকাশ ও একটা অশখ গাছের মাথা দেখিতে পাওয়া যাইত। জেলখানার কবিত্ব কেবল ঐটুকু লইয়াই ; বাকি সবটাই একেবারে নিরেট গদ্য। আর সব চেয়ে কটমট গদ্য আহারের ব্যবস্থাটা। প্ৰথম দিন তাহ দেখিয়া হাসি পাইল, দ্বিতীয় κ