পাতা:নির্বাসিতের আত্মকথা - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8७ নির্বাসিতের ভ্রাত্মকথা দিন রাগ ধরিল, তৃতীয় দিন কান্না আসিল । সকাল বেলা উঠিতে না। উঠিতেই একটা প্ৰকাণ্ড কালো জোয়ান বালতি হইতে সাদা সাদা কি ? খানিকটা আমাদের লোহার থালের উপর ঢালিয়া দিয়া গেল। শুনিলাম উহাই আমাদের বাল্যভোগ এবং আলীপুরী ভাষায় উদ্ভার নাম ‘লপসী’ । “লপ সী’ কিরে বাবা! শচীন দূর হইতে খানিকট পরীক্ষা করিয়া বলিল—“ওহে ! এ যে ফেন মিশান ভাত ”—পরদিন দেখিলাম দালের সহিত মিশিয়া লপসী পীতবর্ণ ধরিয়াছে ; তৃতীয় দিন ...দেখিলাম উহা রক্তবর্ণ। শুনিলাম উহাতে গুড় দেওয়া হইয়াছে এবং উহাই আমাদের প্ৰান্তরাশের রাজকীয় সংস্করণ। সাড়ে দশটার সময় একটা টিনের বাটার এক বাট রেঙ্গুন চালের ভাত, খানিকটা অরহর ডাল, কি খানিকটা পাতা ও ডাটা সিদ্ধ ও একটু তেঁতুল গোলা। সন্ধার সময় ও তদ্বৎ, কেবল তেঁতুল গোলাটুকু নাই। ডাক্তার সাহেব ও জেলার বাবু আমাদের সহিত দেখা করিতে আসিলা মাত্র আমরা একটা প্ৰকাণ্ড উদর-নৈতিক আন্দোলন সুরু করিয়া দিলাম। ডাক্তার সাহেব জাতিতে আইরিস, নিতান্তই ভদ্রলোক । আমাদের সব কথাগুলি চুপ করিয়া শুনিয়া বলিলেন—উপায় নাই । জেলের কয়েদীর খোরাক একেবারে সরকারের হিসাব মত বাধা । কাহারও অসুখ বিসুখ হইলে তিনি হাস-পাতাল হইতে গ্ৰন্থখ বন্দোবস্ত করিতে পারেন ; কিন্তু সুস্থ অবস্থায় অন্য আখ, খায় তাহার অধিকার নাই। জেলার বাবু বলিলেন,-“জেলের গানে আলু, বেগুণ, কুমড়া, পেয়াজ প্ৰভৃতি সব তরকারীই তা হয় “লর খোরাক ত মন্দ নয়।” শী না।--তান্ত ঠোটকাট ছেলে ; সে ‘বাগানে তা হয় সবই, কিন্তু পুঁই ডাঁটা আর এচােড়ের খোসা ছাড়া বাকী সব গুলা বােধ श्व ब्रांरडा लूलिश। अछद्ध 5लिना शांब ।”