পাতা:নির্বাসিতের আত্মকথা - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ज्न€रूप >iन्झिCच्छन । নানারূপ গুজবের মধ্য হইতে সার সঙ্কলন করিয়া এই ঘটনা সম্বন্ধে যাহা বুঝিলাম তাহা এই :-হাসপাতালে থাকিবার সময় সত্যেনের মনে হয় যে, যখন কাশরোগে ভুগিতেছি তখন ত অল্পদিনের মধ্যে মরিতেই হইবো ; বৃথা না মরিয়া নরেনকে মারিয়া মরিলেই ত বেশ হয়। কানাই লাল সে কথা শুনিয়া তাহাকে সাহায্য করিবার জন্য পিস্তল লইয়া হাসপাতালে আসে। পেটের যন্ত্রণা শুধু ডাক্তারকে ঠকাইবার জন্য— ভাণ মাত্র । তাহার পর সত্যেন নরেনকে বলিয়া পাঠায় যে জেলের কষ্ট আর তাহার সহ্য হইতেছে না ; সেও নরেনের মত সরকারী সাক্ষী হইতে চায় ; সুতরাং পুলীসের কাছে কি কি বলিতে হইবে তাহা যদি দুজনে মিলিয়া পরামর্শ করিয়া ঠিক করে তাহা হইলে আদালতে জেরার সময় কোন কষ্ট পাইতে হইবে না। সত্যেনের ছলনায় ভুলিয়া নরেন তাঁহাই বিশ্বাস করিল এবং একজন ইউরোপীয় প্রহরী সঙ্গে লইয়া সত্যেনের সঙ্গে দেখা করিতে আসিল । কথা কহিতে কহিতে যখন সত্যেন পিস্তল। বাহির করিয়া তাহার উরু। লক্ষ্য করিয়া গুলি করে তখন নরেন ঘর হইতে পলাই যায়। পলাইবার সময় তাহার পায়ে একটা গুলি লাগিছিল, কিন্তু আঘাত সাংঘাতিক হয় নাই। গুলির শব্দ শুনিবা মাত্ৰ কানাইলাল হাসপাতালের নীচে হইতে উপরে ছুটয় আসে। ইউরোপীয় প্রহরী তাহাকে ধরিতে যায়, কিন্তু হাতে একটা গুলি খাইয়া সে সেইখানেই পড়িয়া চীৎকার করিতে থাকে। ইতিমধ্যে নরেন নীচে আসিয়া হাঁস- “ .