পাতা:নির্বাসিতের আত্মকথা - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম পরিচ্ছেদ e> ওকাথাও দেখি নাই, আর আমাদের স্বদেশী ভূতেরা श्रृंश्ल बांऊँौएड ईं পাটখেল ফেলে; খুব জোর কচুপাতায় মুড়িয়া এক আধটা খারাপ - জিনিষ ছুড়িয়া মারে ; সুতরাং পিস্তলের ব্যাপারে ভূতের থিওরিটা একেবারে অবিশ্বাসযোগ্য বলিয়াই মনে হয় । কঁাটাল বা ঘিয়ের টিনও ডাক্তার সাহেব নিজে পরীক্ষা করিয়া দিতেন, সুতরাং ত্যাহার ভিতর দিয়া দুই দুইটা রিভলভার আসা তত সুবিধার কথা বলিয়া মনে হয় না। তবে কর্তৃপক্ষের চক্ষুর অগোচরে জেলের মধ্যে গাঁজা, গুলি অফিম, সিগারেট সবই যখন যাইতে পারে, তখন সে রাস্তা দিয়া পিস্তল যাওয়াও ত বিচিত্র ८छ् । যাক সে কথা । তাহা লইয়া এখন মাথা ঘামাইয়া আর কোন ফল নাই। কিন্তু নরেনের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে আমাদেরও অদৃষ্ট পুড়িল। আধ ঘণ্টার মধ্যেই জেলের সুপারিনটেনডেন্ট সশস্ত্ৰ সিপাহি শাস্ত্রী লইয়া । ব্যারাকে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। আর একে একে আমাদের সকলের তল্লাসী লইয়া বাহির করিয়া দিলেন। তাহার পর ব্যারাকের তল্লাসী আরম্ভ হইল। বিছানার মধ্যে বা এদিক ওদিকে দশ বিশটা টাকা লুকান ছিল। তল্লাসীর সময় প্রহরীরা তাহ নির্বিবাদে হজম করিয়া লইল । আমাদের কাছে ত কিছুই পাওয়া গেল না, কিন্তু ইন্সপেক্টর জেনেরাল হইতে আৰম্ভ করিয়া ছােট বড় পুলিসের কৰ্ম্মচারীতে জেল ভরিয়া গেল। আরও রিভলভার জেলের মধ্যে লুকান আছে কি না, পুকুরের মধ্যে দুই একটা ফেলিয়া দেওয়া হইয়াছে কিনী ইত্যাদি বহুবিধ গবেষণা চলিতে লাগিল । আমাদের বড় আশা হইয়াছিল যে, রিভলভার অনুসন্ধান করিবার জন্য যদি জেলখানার পুকুরের জল ছেচিয়া ফেলে, তাহা হইলে এক আধাদিন যথেষ্ট পরিমাণে মাছ খাইতে পাওয়া যাইবে ; কিন্তু অদৃষ্ট । তাহা ঘটিল না। অধিকন্তু ইন্সপেক্টর জেনেরাল আসিয়া আবার আমাদের