পাতা:নির্বাসিতের আত্মকথা - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম পরিচ্ছেদ Veť Nআমাদের মোকৰ্দমা আরম্ভ হইল। দিনের মধ্যে ঘণ্টা কয়েকের জন্য । একটু খোলা হাওয়া খাইয়া ও লোকজনের মুখ দেখিয়া আমাদের প্ৰাণগুলা হাফ ছাড়িয়া বঁচিল । দুই একজন ভিন্ন মোকৰ্দমার খরচ জোগাইবার পয়সা কাহারও নাই ; সুতরাং অরবিন্দ বাবুর সাহায্যের জন্য যে চাদ উঠিয়াছিল তাহা হইতেই উকিল ব্যারিষ্টারদের অল্পস্বল্প খরচ দেওয়া হইতে লাগিল ! যাহাঁদের অল্প দক্ষিণায় পোয়াইল না। তাহারা দুই চারিদিন পরেই সরিয়া পড়িলেন ; শেষে শ্ৰীযুক্ত চিত্তরঞ্জন দাশ অর্থের মায়া ত্যাগ করিয়া আমাদের মোকৰ্দমা চালাইতে লাগিলেন। হাইকোর্ট ছাড়িয়া আলিপুরে মোকদ্দমা চালাইতে আসায় ব্যারিষ্টারদের অনেক অসুবিধা ; সুতরাং মোকৰ্দমা যাহাতে হাইকেটে যায়। সে জন্য তঁহাদের মধ্যে কেহ কেহ চেষ্টা করিয়াছিলেন, বিশেষতঃ হাইকোটে গেলে বিচারের ভার জুরিব উপর পাড়িত। বারীন্দ্রের বিলাতে জন্ম ; Ci 43 Sir sites European British-born subject, Systie সে ইচ্ছা করিলে মোকৰ্দমা হাইকেটে লইয়া যাইতে পারিত। কিন্তু ম্যাজিষ্ট্রেট যখন তাহাকে জিজ্ঞাসা করেন যে সে বিলাতী সাহেবের অধিকার চায় কি না তখন সে একেবারে স্পষ্ট ভাষায় বলিয়া দিয়াছিল— না। কাজে কাজেই আলিপুরের জজের কাছেই আমাদের বিচার আরম্ভ হইল । কিন্তু বিচারের কে খবর রাখে, আমরা হাঁটুগোল লইয়াই ব্যস্ত! আন্দালত খোলার আরও একটা মহা সুবিধা এই যে দুপুর বেলা জল খাবার পাওয়া যায়। জেলের ডাল ভাতৃ খাইয়া খাইয়া প্ৰাণ পুরুষ যেরূপ श्रू' হইয়া পড়িয়াছিলেন, তাহাতে অনন্তকাল যদি এই মোকৰ্দমা চলিত, তবুও জলখাবারটুকুর খাতিরে তিনি ঐ ব্যবস্থায় রাজী হইয়া পড়িতেন !