পাতা:নির্বাসিতের আত্মকথা - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Գo নির্বাসিতের আত্মকথা অরবিন্দ বাবুকে কোন কথা জিজ্ঞাসা করিতে সাহস করিল না। শেষে / শচীন আস্তে আস্তে র্তাহার কাছে গিয়া জিজ্ঞাসা করিল-“আপনি সাধন করে কি পেলেন ?” অরবিন্দ সেই ছোট ছেলেটীর কঁধের উপর হাত রাখিয়া হাসিয়া বলিলেন—“যা খুজছিলাম, তা পেয়েছি।” তখন আমাদের সাহসী হইল, আমরা তঁহার চারিদিক ঘিরিয়া বসিলাম। অন্তর্জগতের যে অপূৰ্ব্ব কাহিনী শুনিলাম তাহা যে বড় বেশী বুঝিলাম তাঁহা নহে ; তবে এই ধারণাটী হৃদয়ে বদ্ধমূল হইয়া গেল যে এই অদ্ভুদ মানুষটীর জীবনে একটা সম্পূর্ণ নূতন অধ্যায় আরম্ভ হইয়া গিয়াছে। জেলের মধ্যে বৈদান্তিক সাধনা শেষ করিয়া তিনি যে সমস্ত তান্ত্রিক সাধনা করিয়াছিলেন তাহারও কতক কতক বিবরণ শুনিলাম। জেলের বাহিরে বা ভিতরে তঁহাকে তন্ত্রশাস্ত্ৰ লইয়া কখনও আলোচনা করিতে দেখি নাই। সে সমস্ত গুহ সাধনের কথা তিনি কোথায় পাইলেন জিজ্ঞাসা করায় অরবিন্দ বাবু বলিলেন যে একজন মহাপুরুষ সুক্ষ্মশরীরে আসিয়া তঁহাকে এই সমস্ত বিষয় শিক্ষা দিয়া যান। মোকৰ্দমার ফলাফলের কথা জিজ্ঞাসা করায় তিনি বলিলেন—“আমি ছাড়া পাব।” ফলে তাঁহাই হইল। মোকৰ্দমা আরম্ভ হইবার এক বৎসর পরে যখন রায় বাহির হইল। তখন দেখা গেল। সত্যসত্যই অরবিন্দ বাবু মুক্তি পাইয়াছেন। উল্লাসকর ও বারীদ্রের ফঁাসির আর দশজনের যাবজীবন দ্বীপান্তরের হুকুম হইল। বাকি অনেকের পাঁচ সাত দশ বৎসর করিয়া জেল বা দ্বীপান্তর বাসের আদেশ হইল।” ফাসির হুকুম শুনিয়া উল্লাসকর হাসিতে হাসিতে জেলে ফিরিয়া আসিল ; বলিল- “দায় থেকে বঁাচা গেল।” একজন ইউরোপীয় প্রহরী তাহ দেখিয়া তাহার q{{(3 wife; fi(Git-Look look, the man is going to be hanged and he laughs (Cቫቔ, Cቫቔ, লোকটীর ফঁাসি হইবে,