পাতা:নির্বাসিতের আত্মকথা - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম পরিচ্ছেদ । ዓዓ” বিভাগের লোক অন্য বিভাগের লোকের সহিত বিনা প্ৰয়োজনে পরিচিত হইবার অবসর পায় না। সমিতির অধ্যক্ষদের এই চেষ্টা থাকে যেন প্ৰত্যেক ব্যক্তি আপন আপন কৰ্ম্ম ভিন্ন অপরের কৰ্ম্ম না জানিতে পারে। এইরূপ নিয়ম থাকায় এক আধজনের দুর্বলতায় সমস্ত কাজ নষ্ট হইতে পায় না । নানা কারণে সেরূপ ব্যবস্থা আমাদের মধ্যে হইয়া উঠে নাই ; আর তাহার উপর আমাদের স্বভাব-সিদ্ধ গল্প করিবার প্রবৃত্তি ত আছেই আমাদের দেশে প্ৰত্যেক সমিতির ভিতর হইতে যে দুই একজন করিয়া সরকারী সাক্ষী বাহির হইয়াছিল কাৰ্য্যপ্ৰণালীর শিথিলতাই তাহার প্ৰধান কারণ । দলাদলি ও পরম্পরের প্রতি বিদ্বেষের ফলেও অনেক সময় অনেক সমিতির গুপ্তকথা প্ৰকাশ হইয়া গিয়াছে। যে জাতি বহুদিন শক্তির আস্বাদন পায় নাই, তাহদের নেতারা যে প্ৰথম প্ৰথম ক্ষমতা লোলুপ হইয়া দাড়াইবে তাহাতে আশ্চৰ্য বোধ করিবার কিছুই নাই। আর নেতাদিগের মধ্যে অযথা প্ৰভুত্ব প্রকাশের ইচ্ছা থাকিলে অনুচরদিগের মধ্যে ঈর্ষা ও অসন্তুষ্টি অনিবাৰ্য্য । একটা সুবিধার কথা এই যে গল্প করিবার প্রবৃত্তি শুধু আমাদের । মধ্যেই আবদ্ধ নহে। ইউরোপীয় প্রহরীরাও প্ৰায় সমস্ত দিন জেলের মধ্যে বন্ধ থাকিয়া হঁপাইয়া উঠিত। তাহদের মধ্যেও বেশ একটু দলাদলি ছিল । একদল অপর দলকে জব্দ করিবার জন্য মাঝে মাঝে আমাদেরও সাহায্যপ্রাথী হইত; এবং তাহাদের কথা প্রসঙ্গে জেলের অনেক গুপ্ত । রহস্য প্ৰকাশ পাইত। 'কিছু দিন এইরূপ থাকিবার পর শুনিলাম যে Civil Surgeon আমাদের আনন্দামানে পাঠাইবার জন্য পরীক্ষা করিতে আসিবেন। যথা সময়ে Civil Surgeon আসিয়া পেট টিপিয়া, চোখ দেখিয়া সাতজনের ভবনদী পারের ব্যবস্থা করিয়া গেলেন। সুধীর ও আমি তখন রক্ত