পাতা:নির্বাসিতের আত্মকথা - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰথম পরিচ্ছেদ সত্য; ইংরেজের তোপ, বারুদ, গোলাগুলি, পল্টন, মেশিন গান—ও সৰ শুধু মায়ার ছায়া ! এ ভোজবাজীর রাজ্য, এ তাসের ঘর-আমাদের এক ফুৎকারেই উড়িয়া যাইবে। নিজেদের লেখা দেখিয়া নিজেরাই চমকিয়া উঠিতীম ; মনে হইত যেন দেশের প্রাণ-পুরুষ আমাদের হাত দিয়া তাহার অন্তরের কথা বাহির করিতেছেন । হু হু করিয়া দিন দিন যুগান্তরের গ্ৰাহকসংখ্যা বাড়িয়া যাইতে লাগিল। এক হাজার হইতে পাঁচ হাজার, পাঁচ হাজার হইতে দশ হাজার, দশ হাজার হইতে এক বৎসরের মধ্যে বিশ হাজারে ঠেকিল। ছোট প্রেসে ত আর অত কাগজ ছাপা চলে না। লুকাইয়া লুকাইয়া অন্য প্রেসে ছাপান ভিন্ন গত্যন্তর রহিল না। ঘরের কোণে একটা ভাঙ্গা বাক্সে যুগান্তর বিক্রয়ের টাকা থাকিত। তাহাতে চাবি লগাইতে কখন কাহাকেও দেখি নাই। কত টাকা আসিত আর কত টাকা খরচ হইত, তাহার হিসােবও কেহ লইত না । যুগান্তর অফিসে অনেকগুলি ছেলেও মাঝে মাঝে আসিয়া খাইত ও থাকিত। তাহদের বাড়ী কোথায়, তাহারা কি করে, এ সংবাদ বড় । কেহ রাখিত না। এইটুকু শুধু জানিতাম যে, তাহারা “স্বদেশী”; বাহিরে যাইবার সময় বাড়ীর সুমুখে দুই একটী লোককে প্রায়ই দাড়াইয়া থাকিতে দেখিতাম ; আমাদের দেখিলে তাহারা কেহ আকাশপানে চাহিত, কেহ সম্মুখের চায়ের দোকানে ঢুকিয়া পড়িত, কেহ বা সীসা দিতে দিতে চলিয়া যাইত। শুনিতাম-সেগুলি নাকি সি, चांझे, ख्रि अश्शूशैठ औद । गि, च्हे, ऊि ? कूः ! cरु कांद्र कख्रि ধারে ? দিন এইরূপে কাটিতে লাগিল। একদিন সরকার বাহাদুরের তরফ ।