পাতা:নির্বাসিতের আত্মকথা - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ পরিচ্ছেদ । କ& গারের অধ্যক্ষ করা হইল আর अभि হইলাম ঘানি-ঘরের মোড়ল । প্ৰাতঃকালে ১০ হইতে ১২ টার মধ্যে রন্ধন ও আহারাদি শেষ করিয়া লাইবার কথা ; কিন্তু ঐ অল্প সময়ের মধ্যে সব কাজ সারিয়া লওয়া অসম্ভব দেখিয়া আমরা সাধারণ ভাণ্ডারা ( পাকশাল ) হইতে ভাত ও ডাল লইতাম ; শুধু তরকারিটা নিজেদের মনোমত রাধিয়া লইতাম। রন্ধন বিদ্যায় হেমচন্দ্রের ওস্তাদ বলিয়া নাম-ডাক ছিল। প্রকৃতপক্ষে মাংস, পোলাও প্ৰভৃতি নবাবী খানা তিনি বেশ রাধিতে পারিতেন, তবে সোজাসুজি তরকারি রাধিতে যে আমাদের চেয়ে বেশী পণ্ডিত ছিলেন বলিয়া মনে হয় না। একদিন একটা মোচা পাইয়া বহুকাল পরে মোচার ঘণ্ট খাইবার সাধ হইল। কিন্তু কি করিয়া রাধিতে হয় তাহাত জানি না । মোচার ঘণ্ট রাধিবার জন্য যে প্ৰকাণ্ড কনফারেন্স বসিল তাহাতে রন্ধন প্ৰণালী সম্বন্ধে কাহারও সহিত কুহারও মত মিলিল না। বারীন্দ্ৰ বলিল—“আমার দিদিমা হাটখোলার দত্ত বাড়ীর মেয়ে এবং পাকা রাধুনী, সুতরাং আমার মতই ঠিক।” হেমচন্দ্ৰ বলিল-“আমি ফ্রান্সে গিয়ে ফরাসী রান্না শিখে এসেছি, সুতরাং আমার মতই ঠিক।” আমাদের সব স্বদেশী কাজেই যখন বিদেশী ডিপ্লোমার আদর অধিক তখন আমরা স্থির করিলাম যে মোচার ঘণ্ট রান্নাটা হেমদাদার পরামর্শ মতই হওয়া উচিত। আমি গম্ভীর ভাবে রাধিতে বসিলাম, হেমদ কাছে বসিয়া আরও গভীর ভাবে উপদেশ দিতে লাগিলেন। কড়ার উপর তেল চড়াইয়া যখন হেমন্দা পেয়াজের ফোড়ন দিয়া মােচা ছাড়িয়া দিতে বলিলেন তখন তাঁহার রন্ধন বিদ্যার ডিপ্লোমা সম্বন্ধে আমারও একটু সন্দেন্তু হইল। মােচার ঘণ্টে পেয়াজের ফোঁড়ুন কি রে বাবা ? এযে বেজায় ফরাসী কাণ্ড ! কিন্তু কথা কহিবার উপায় নাই। চুপ করিয়া তাহাই করিলাম। মােচার ঘণ্ট রান্না হইয়া যখন