পাতা:নির্যাতনের বিরুদ্ধে কনভেনশন.pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

৫) এই ধারার ১ থেকে ৪ উপধারায় বর্ণিত কমিটির তদন্ত সম্পর্কিত বিষয়টি অত্যন্ত গোপনীয় হিসেবে পরিগণিত হবে এবং তদন্তের সমগ্র পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সহযোগিতা কামনা করা হবে। ২ উপধারায় বর্ণিত বিধান অনুযায়ী তদন্তকার্য সম্পাদনের পর কমিটি সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সাথে পরামর্শক্রমে তদন্তসংক্রান্ত কার্যাবলীর একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ ২৪ নং ধারায় বিধৃত বার্ষিক প্রতিবেদনে সংযুক্ত করতে পারে।

ধারা ২১

১) এই কনভেনশনে স্বাক্ষরদানকারী কোন রাষ্ট্রপক্ষ এই ধারাবলে যে কোন সময় এই মর্মে ঘোষণা দিতে পারবে যে, এই কনভেনশনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ দায়িত্ব পালনে কোন রাষ্ট্র অপারগ বলে অপর কোন রাষ্ট্র যদি অভিযোগ উত্থাপন করে তাহলে প্রথমোক্ত রাষ্ট্রটি অনুরূপ অভিযোগ সম্পর্কিত আবেদন বা নালিশ গ্রহণ বা বিবেচনার জন্য কমিটিকে যোগ্য বলে মনে করে। এই অনুচ্ছেদে বর্ণিত বিধি মোতাবেক অনুরূপ অভিযোগ গ্রহণ বা পর্যালোচনা করা যাবে, তবে তা এই শর্তে যে, সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রটি ঘোষণা করবে যে সে কমিটির বিচার-বিবেচনার যোগ্যতাকে স্বীকার করে। যে পক্ষ অনুরূপ ঘোষণা প্রদান করবে না, এই ধারা অনুযায়ী সেই পক্ষের অভিযোগ কমিটি গ্রহণ বা বিবেচনা করবে না। নিম্নবর্ণিত পদ্ধতিতে কোন অভিযোগ গৃহীত হবে:

ক) যদি কোন রাষ্ট্রপক্ষ মনে করে যে, অন্য একটি রাষ্ট্র এই কনভেনশনের বিধান বাস্তবায়ন করছে না, তাহলে সে লিখিতভাবে শেষোক্ত রাষ্ট্রের কাছে বিষয়টি পেশ করতে পারে। অনুরূপ অভিযোগ প্রেরণের তিন মাসের মধ্যে অভিযোগ গ্রহণকারী রাষ্ট্রকে অভিযোগকারী রাষ্ট্রপক্ষের প্রতিটি বিষয়ের ব্যাখ্যা অথবা বিষয়টি বিশ্লেষণ উপযোগী অন্য কোন ধরনের বিবৃতি মারফত জবাব দেবে। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রটির প্রাসঙ্গিক অভ্যন্তরীণ নিয়মপদ্ধতি, গৃহীত অথবা বিবেচনাধীন প্রতিবিধানমূলক পদক্ষেপের বিবরণ, প্রভৃতি।
খ) যদি বিবাদটি উভয় রাষ্ট্রপক্ষের নিকট সন্তোষজনকভাবে অভিযোগ গ্রহণকারী রাষ্ট্র কর্তৃক গ্রহণের ছয় মাসের মধ্যেও নিষ্পত্তি না হয়, তাহলে বিবাদের যে কোন রাষ্ট্রপক্ষ অত্র কমিটি এবং অন্যান্য রাষ্ট্রপক্ষ বরাবরে বিজ্ঞপ্তি প্রদানের মাধ্যমে কমিটির কাছে পেশ করার অধিকার সংরক্ষণ করবে।
গ) এই ধারাবলে কমিটি তার বরাবরে পেশকৃত বিবাদটি সুরাহা করতে পারবে। তবে তার আগে অবশ্যই নিশ্চিত হতে হবে যে, আন্তর্জাতিক আইনের সাধারণত স্বীকৃত মূলনীতির সাথে সঙ্গতি রেখে সর্বপ্রকার অভ্যন্তরীণ প্রতিকারের ব্যবস্থা গৃহীত হয়েছে এবং সব ধরনের প্রতিবিধান গ্রহণের পদক্ষেপ নিঃশেষ হয়ে গেছে। তবে প্রতিবিধানমূলক পদক্ষেপগুলো অকারণে দীর্ঘসূত্রতাপূর্ণ করার কারণে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির যন্ত্রণা লাঘব না হলে সেই সব ক্ষেত্রে এই নির্দেশ কার্যকর হবে না।
ঘ) এই ধারাবলে আবেদনসমূহ পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলাকালীন কমিটি রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসবে।
ঙ) উপধারা ‘গ’-এ বর্ণিত বিধানসাপেক্ষে বিবদমান রাষ্ট্রপক্ষদ্বয়ের মধ্যে কমিটি এই কনভেনশনে প্রদত্ত দায়িত্ব অনুযায়ী মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করবে। এই উদ্দেশ্যে কমিটি তার বিবেচনা অনুযায়ী একটি অস্থায়ী সম্মিলনী কমিশন (রিকনসিলিয়েশন কমিশন) গঠন করতে পারবে।
১২