পাতা:নিষ্‌কৃতিলাভপ্রয়াস.djvu/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬
নিষ্কৃতিলাভপ্রয়াস।

তর্কবাচস্পতি, শ্রীযুত বাবু রাজকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায়, এই তিন ব্যক্তি, হিসাব নিকাস ও দেনা পাওনা স্থির করিয়া দিবার নিমিত্ত, সালিস নিযুক্ত হয়েন, এবং খাতা পত্র দেখিয়া, হিসাব নিকাস ও দেনা পাওনার মীমাংসা করিয়া দেন। তাঁহাদের মীমাংসাপত্রের প্রতিলিপি তর্কালঙ্কারের নিকট প্রেরিত হইলে, তিনি পত্রদ্বারা শ্যামাচরণ বাবুকে জানান, আমি এক্ষণে যাইতে পারিব না; আদালত বন্ধ হইলে, কলিকাতায় গিয়া, আপন প্রাপ্য বুঝিয়া লইব। কিছু দিন পরে তাহার মৃত্যু হওয়াতে, তাঁহার পত্নী, কলিকাতায় আসিয়া, ছাপাখানা সংক্রান্ত স্বীয় পতির প্রাপ্য বুঝিয়া লয়েন।

 কলিকাতায়, মুরসিদাবাদে, ও কাঁদিতে কর্ম্ম করিবার সময়, তর্কালঙ্কারের পরিবার তাঁহার নিকটে থাকিতেন; তাহার বৃদ্ধা জননী বিল্বগ্রামের বাটীতে অবস্থিতি করিতেন। তর্কালঙ্কারের মৃত্যুর পর, তাঁহার পরিবার বিল্বগ্রামের বাটীতে অবস্থিতি করিতে লাগিলেন।

 কিছু দিন পরে, তর্কালঙ্কারের মাতাঠাকুরাণী কলিকাতায় আগমন করিলেন, এবং নিরতিশয় শোকাভিভূত হইয়া, বিলাপ ও অশ্রুবিসর্জ্জন করিতে লাগিলেন। তাঁহার দুইটি পুত্র হইয়াছিল। কনিষ্ঠটি, কিছু কাল পূর্ব্বে, কালগ্রাসে পতিত হয়েন। জ্যেষ্ঠ তর্কালঙ্কার জননীর জীবনের একমাত্র অবলম্বন ছিলেন। জননীর দুর্ভাগ্যবশতঃ, তিনিও মানবলীলার সংবরণ করিলেন। এমন স্থলে, জননীর যেরূপ শোচনীয় অবস্থা ঘটে, তাহা অনায়াসেই সকলের