পাতা:নিষ্‌ফল তৰু.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$8 নিষ্ফল তরু । পৰ্য্যন্ত বিসর্জন কর, অত্ৰাচ সে মূৰ্ত্তি তুলিবার নয়। যে দিকে দৃষ্টি মিক্ষেপ করি, সেই দিকেই সেই মূৰ্ত্তি—যে মূৰ্ব আমার চিত্তপটে চিরাঙ্কিত রছিয়াছে। , যে দিকে কৰ্ণপাত করি, অমনি সেই মধুর কণ্ঠের মধুর স্বনি কর্ণকুহুরে প্রবিষ্ট হুইয়া মুখের সাগরে ভাসাইয়া দেয়, আর সে স্বনি শুনিব না মনে হ’লে হৃদয় সহসা বিদীর্ণ হুইয়া যায়। . যে মূৰ্ত্তি দেখিবার জন্ম অামি পাগল হই, জানি না এক দিন সহসা কে আমার চিত্তপটে সেই অপূৰ্ব্ব রূপটি অঙ্কিত করিয়া দিল । তদবধি সযত্নে প্রাণপণে সেই মূৰ্ত্তিটা হৃদয়ে ধারণ করিয়া রছিয়াছি, নিমেষের জন্যে অন্তর হইতে, অন্তর করি নাই ও করিব না। প্রাণান্তেও ভুলিব না। যখন উৎকট পীড়ার সময় জীবন বিয়োগ হয়, প্রাণ অসছ ভয়াৰছ ব'লে বোধ হয়, তখন একমাত্ৰ মহৌষধি সেই মুখ খানি। ইছ অপেক্ষ উৎকৃষ্ট ভেষজ জাতে মাই। সে মুখ খানি দেখিলে রোগের নিদাৰুণ যন্ত্রণ আর অনুভব ছয় না। বড় দুঃখ রছিল একেবারে সকল অবয়ব দেখিতে পাইলাম না। মুখের দিকে চাছিলে আর জ্ঞান থাকে না। মুখখানি সরলতাপরিপূর্ণ, পবিত্রতার আধার, ময়ন আর ফিরিতে চাছে না, সুতরাং অল্প অবয়ব আর দেখা হয়না । উঃ কি আক্ষেপ ! দেখিবার সময় চক্ষের পল্লৱ পড়ে কেন । অনেকে আমাকে পাগল বলিতে পারেন, বলুন তাহাতে অামার ক্ষতি নাই । এ সংসারে থাকিবার প্রয়োজন কি ? প্রিয় বস্তুতে নিরাশ ছ'য়ে জীবিত থাকা অপেক্ষ মৃত্যু শত গুণে শ্রেয়ঃ । এ সংসারে থাকায় অনেক প্রতিবন্ধক অাছে, প্রাণভরে সে মুখখানি দেখিতে পাই না, মধুর মুখে মধুর কখ। কর্ণভরে শুনিতে পাই না, তাই বলিতেছিলাম এ