পাতা:নিষ্‌ফল তৰু.pdf/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( , 88 ). রোপণ করিয়াছিলাম আশালতা প্রেম-বনে । ফলে ফুলে হবে বড় বড় আশা ছিল মনে ॥ অনেক আশায়, অনেক যত্বে, অর্মেক উৎসাঙ্কে, বহু পরিশ্রমে, একটি বৃক্ষ বপণ করিয়াছিলাম । বীজ বপণ করিয়া মনে কত অভিনব আশার সঞ্চার হইল, ফলে তাছাই হুইল । অঙ্কুর হইল, ক্রমে দুই একটি পাতা দেখ। দিল, আমার হৃদয় অনিৰ্ব্বচনীয় আনন্দরসে পরিপ্লুত হুইয়া গেল ! ঈশ্বর-কৃপায় বৃক্ষটি বাড়িতে লাগিল ; মনে করিলাম, এইবার আমার আশা পূর্ণ হবে । দিন দিন তৰুটি বাড়িতে লাগিল, অামার অাশা উৎসাহ তৎসঙ্গে বাড়িতে লাগিল। ফুল ধরিবার সময় হইল, বিধাতার এমনি বিড়স্বনা, কালের এমনি কুটিল গতি, ফুল একটি অধিটি হুইল কিন্তু ঝরিয়া গেল, যদি ফুলই গেল তবে ফলের অাশা নিরাশা। বড় আশ ছিল পরিণামে সুমুধুর ফল ফলিৰে । অলগিনীর দুর্ভাগ্যবশতঃ সে আশা বিফল ছইল ! ছা ! দৈবের কি ভীষণ গতি ! স্মরণ হইলে হৃদয় বিদীর্ণ ছইয়া যায়। এক দিন অকস্মাৎ অশনি-সম্পাতে অভাগিনীর যত্বের ধন আশার তৰু ক্ষণেকে ভস্মাবশেষ হইয় গেল । যখন বৃক্ষটি পুড়িতে লাগিল, ছতভাগিনীর অস্থি মর্জীও তৎসঙ্গে সঙ্গে অঙ্গরাবশেষ হুইল ! ওঃ কি পরিতাপ ! কি শোচনীয় অবস্থা ! সংসারের গতি বুঝা ভায় ! এক দিন এই তৰুর মত আমারও দশা হুইবে । যখন কালের প্রবল শ্ৰেণতে জীবন ভাসমান হইবে, তখন কোন প্রতিবন্ধকই মানিবে না। এত আশা, উৎসাহ, প্রফুল্লতা, কিছুই থাকিবে ন। এ সংসারের কিছুই চিরস্থায়ী নয়, এত যত্বের দেছ ইছাই পুড়িয়া ছাই হইবে। সামান্ত একটি বৃক্ষের জন্ম যে