পাতা:নিষ্‌ফল তৰু.pdf/৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Հ নিষ্ফল তরু। কউ হাসি ছাসিয়াছি, তোমাকে দেখিবার জন্তে পাগল হ’য়ে বেড়াইয়াছি, আজি আর সে ভাব নাই,আজি তোমাকে অসংখ্য নক্ষত্ৰ-মালা পরিবেষ্টিত দেখিয়া, অতীত মুখ স্মরণপথে উদিত হইয়। হৃদয় বিদীর্ণ হুইয়। যাইতেছে। শশিন! তুমি হাসচ ? হাস, তোমার মনে সুখ আছে, আশার বস্তু অাছে, তাই তোমার এত সুখভরা মধুর হাসি, এ ছাসি তোমার মুখেই শোভা পায়। তোমার ছালি দেখে কি অামি হাসিব ? জানম কি মামুষের মন কুটিলতা-পরিপূর্ণ। অপরের সুখ দেখলে সুধী ছওয়া দূরে থাক বরং দুঃখই প্রকাশ করিয়া থাকে। তুমি যত পীর ছাস, ছাসির স্রোত্ত ধরাময় বিকীর্ণ কর, আমি কিন্তু হাসিব না। মনের কি বিচিত্র গতি! এই মাত্র বলিতেছিলাম তোমাকে দেখিয়া হাদিব না, ক্ষণমাত্রে সে প্রতিজ্ঞ ভুলিয়া গেলাম, আবার হাসিলাম । শশিন্‌ ! আমি তোমাকে কত ভালবাসি, প্রাণীপেক্ষা প্রিয় জ্ঞান করি, তবু তুমি আমায় ভালবাস না ? তুমি উঠিয়াছ দেখিয়া, আমি সকল কৰ্ম্ম পরিত্যাগ করিয়া তাড়াতাড়ি তোমাকে দেখিতে আসিলাম । দেখ, তোমাকে দেখিবার জন্ত গৃহের ছাদে ছাদে বেড়াইতেছি, কোথা থেকে তোমাকে ভাল করিয়া, মনের আশ মিটাইয় দেখিতে পাব। তুমি কিন্তু সে ভাব ভাবনা, ভুলেও সে পথে পদক্ষেপ করন, এক বার মনজমেণ্ড দেখাটা করন, যদি সম্মুখে এসে পড়ি তাহ হইলেই দেখা কর, সেটাও আমার একান্ত জেদে ও চক্ষুলজার খাতিরে। এই দুঃখেই তো তোমাকে দেখবোমা মনে করি। পাছে তোমাকে দেখতে ছয় এই ভয়ে যেখানে তোমার ছায়াও প্রবেশ করিতে পারে না এমন স্থানে লুকাইয়া