পাতা:নীতিদর্পণ - প্রথম খণ্ড.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( b ) ইন্দিয় সকল জীর্ণ হইলে মৃত্যু সন্নিহিত বোধ করিয়া মস্ত্রি ও কৰ্ম্মচারিদিগকে একত্র করিয়া স্বকীয় ইচ্ছা-পত্র প্রকাশ করিলেন “ আমার মৃত্যুর পর দিবস প্রত্যুষে যে ব্যক্তি সৰ্ব্বাগ্রে নগর দ্বারে প্রবেশ করিবে তোমরা তাহাকেই রাজ্যাভিষিক্ত করিবে । কোনক্রমে যেন ইহার অন্যথা চরণ না হয়, । কিয়দিন নিস্তর রাজ বসন্তবিরাজ ভৌতিক লীলা সম্বরণ করলেন। তৎপরদিন প্রাতঃকালে দৈব বশতঃ একজন ছিন্ন-বাস। ভিক্ষাচারী আসিয়া নগর-দ্বারে উপস্থিত হইল । রাজপুরুষেরা মহারাজের নিদেশানুসারে তাহাকেই হিরন্ময় ছত্র ও মণিময় মুকুটাভরণ প্রদান করিয়া রাজ্যে অভিষিক্ত করিলেন আপনারাও যথাযোগ্য স্থানে নিয়ত উপস্থিত রহিলেন । অতঃরপ নবীন ভূপতি যথানিয়মে রাজকাৰ্য্যপর্য্যালোচনা করিয়া বিষয় বাসনায় কালযাপন করেন। দুঃখের লেশমাত্র জানেন না। কিন্তু জীবন ৰূপ নদীর মুখৰূপ স্রোতঃ কদাপি সমভাবে প্রবাহি ত হয় না। কাল সহকারে দেশ মধ্যে নানা বিশ্ব