পাতা:নীতিদর্পণ - প্রথম খণ্ড.pdf/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ৩৫ ) পরলোক প্রাপ্ত হইল। আর সেই রুগ্ন ব্যক্তি সুস্থ হইয়া অদ্যাপি জীৰিত রহিয়াছে ইহাতে স্পষ্ট অনুভব হইতেছে মনুষ্যের জীবন অস্থির। কাহার কখন মৃত্যু উপস্থিত হইবে তাহ কেহই জানিতে পারে না। যাহার হৃষ্ট পুষ্ট অতি বলিষ্ঠ এবং অট্টালিকাবাসী তাহারাও অপকাল মধ্যে কালের করাল গ্রাসে পতিত হইতেছে । অথবা অতি ক্লিষ্ট ব্যাধিবিশিষ্ট কুটীরবাসী লোকেরiও সুন্দরন্ধপ সুস্থ হইয়া দীর্ঘকাল জীবিত রহিয়াছে । অতএব মহাশয় আমার নিমিত্ত্বে চিন্তিত হইবেন না আমি তোমারই কিঙ্করবর্গের পশ্চাৎ পশ্চাৎ গমন করিতেছি । কিয়দিন পরে বণিক অশ্ব মাতঙ্গ ও নানা কার্য্যে সুনিপুণ কিন্নরগণ সমভিব্যাহারে এক বেগবতী নদী তীর উপস্থিত হইয়া সেই দিবস তৎসন্নিহিত এক দীর্ঘাকার বট বিটপী তলায় অবস্থান করিলেন । তান স্তর অৰ্দ্ধরাত্র সময়ে অকস্মাৎ এক কৃষ্ণ সৰ্প ৰ্তাহা অঙ্গলী মূলে দংশন করিলে তিনি বিষজ্বালায় কাতর হইয়া এবং মৃত্যুর আসন্নকাল জানিয়া উদাসীনকে