নীতি-সন্দর্ভ । শশধর-সুশোভিত রজনা যেরূপ চিত্ত আকর্ষণ করে, চরিত্রবান লোকও সেইরূপ অন্যের চিত্ত আকর্ষণ করিয়া থাকেন ; পরস্তু চন্দ্রমাবিহীন রজনী যেমন ভাতি-উৎপাদক, চরিত্রবিহীন মানব সেইরূপ অস্যের ভয়ানক। চরিত্রহীন লোকের অশেষ গুণ থাকুক, কিন্তু সেই সমস্ত গুণের আকর্ষণকারিণী কোনও শক্তি থাকে না । সুতরাং চরিত্র বিশুদ্ধ হওয়া একান্ত ত্যাবশ্যক । ইহাই মানবের জীবনের সার-রত্ন । চরিত্র বিশুদ্ধ করিতে হইলে কিরূপে চরিত্র গঠিত হয়, তাহাই প্রথম দেখা কৰ্ত্তব্য । চরিত্র আদর্শে গঠিত হয় । আমরা অনুকরণের দাস, জন্মাবধি মরণপৰ্য্যন্ত আমরা পরস্পরের অনুকরণ করি । অনুকরণে আমাদের জাতীয়জীবন গঠিত হয় এবং অনুকরণের উপর আমাদের ভবিষ্যজীবনের শুভাশুভ নির্ভর করে । সংলোকের অনুকরণে চরিত্র সৎ হয়, অসৎলোকের অনুকরণে চরিত্র অসৎ হয়। প্রকৃতপ্রস্তাবে এই অনুকরণই আমাদের শিক্ষা। এই অনুকরণ বা শিক্ষা প্রথমতঃ গৃহে আরম্ভ হয়। গৃহই চরিত্রগঠনের প্রধান কেন্দ্রস্থল । প্রথমতঃ স্বগৃহের লোকের স্বভাবে সন্তানের স্বভাব গঠিত হয় । তৎপর সদসংসংসর্গদ্বারা এবং সৰ্ব্বশেষে, সমাজদ্বারা তাহা পরিবর্তিত ও সংশোধিত হয়। সন্তান ভূমিষ্ঠ হইয়াই পরিবারস্থলোকের স্বভাবের অনুকরণ করিতে আরম্ভ করে। এই সময়, শিশুর মন একখানি স্বচ্ছদপণের ন্যায়। ইহার সম্মুখে তখন যাহ কিছু ধরা যায়, তাহাই ইহাতে প্রতিফলিত হয়। সুতরাং
পাতা:নীতি-সন্দর্ভ.djvu/১৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।