নীতি-সন্দর্ভ । >○ -- WikitanvirBot (আলাপ) * সাহস প্রাণি-জগতের সকল প্রাণীতেই অল্পাধিকপরিমাণে দৃষ্ট হইয়া থাকে ; বিশেষতঃ ইহার আধিক্য পশুতেই পরিলক্ষিত হয়। কিন্তু সৎসাহস মনুষ্যব্যতীত অন্য কোন প্রাণীতে প্রায়শঃ দেখা যাঁয় না। এই সৎসাহসই মানবপ্রকৃতির একটী বিশেষত্ব । সৎসাহসকে পাচশ্রেণীতে বিভক্ত করা যাইতে পারে। (১) সত্যের প্রতি আদর, (২) যাহা ভাল তাহা হইতে প্রত্যাবৃত্ত না হওয়া ; (৩) যাহা ভাল তাঁহার পোষকতা করিতে প্রাণপণে চেষ্টা করা, (৪) বলবান কর্তৃক কোন অন্যায়কাৰ্য্য করিতে অনুরুদ্ধ হইলে তৎসম্পাদনে অসম্মতিপ্রকাশ, (৫) কোন অন্যায়কাৰ্য্য সম্পাদিত হইতেছে দেখিলে প্রাণ পৰ্য্যন্ত উৎসর্গ করিয়া তৎপ্রতিকারের চেষ্টা করা । ১ । সত্যের প্রতি আদর,—"বাক্য ও মনের যথার্থতার নাম সত্য ; মিথ্যা বাক্য ও অযথার্থ চিন্তা পরিত্যাগ করিলেই সত্যত্রত পালন করা হয় ।" মিথ্য নানাপ্রকার হইতে পারে। শ্ৰীযুক্ত জ্ঞানানন্দ সরস্বতী মিথ্যা কথাকে দুই ভাগে বিভক্ত করিয়াছেন (১) প্রচলিত মিথ্যা-কথা, (২) অপ্রচলিত মিথ্যা-কথা । যে সমুদয় মিথ্যা কথা সমাজে সমাদৃতভাবে প্রচলিত আছে, এবং সভ্যতা ও শিষ্টাচার সর্বপ্রকারে যাহার অনুমোদন করিতেছে, তিনি তাহারই নাম দিয়াছেন “প্রচলিত মিথ্য কথা” ; যেমন “ভাল আছি”, “কিছু না" ইত্যাদি। এবং যেগুলি শিষ্টাচারবিরুদ্ধ ও লোক-গৰ্হিত, তাহাব নাম দিয়াছেন “অপ্রচলিত মিথ্যা-কথা” ।
পাতা:নীতি-সন্দর্ভ.djvu/২৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।