পাতা:নীতি-সন্দর্ভ.djvu/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সহিষ্ণুতা ও ধৈর্য্য। \نیوی( যদি সহিষ্ণুতা না থাকে তবে আত্ম-সংযম করা অসম্ভব হইয়া পড়ে। অন্যে কোন কটুক্তি করিলে তাহ উপেক্ষা করিতে হইবে। তাহ যদি না কর, তবে ইহার প্রতিশোধ নিতেই তুমি সৰ্ব্বদা যত্নশীল থাকিবে, এবং নানাবিধ কুচিন্তা ও কুকল্পনার প্রশ্রয় দিয়া আত্মাকে কলুষিত করিবে । সুতরাং এই সকল কুভাব মন হইতে দূর করিতে হইলে সংযতাত্মা হইতে হইবে। আত্ম-সংস্কারের ইহা একটী মহৎ অঙ্গ । আত্ম-ত্যাগ। আত্মত্যাগের সহিত সহিষ্ণুতার কিছু দূর সম্পর্ক, পরার্থে নিজের স্বার্থ উৎসর্গ করার নাম আত্মত্যাগ। আত্ম-ত্যাগ ভালবাসা হইতে উৎপন্ন হয় । ভালবাসার ক্ষেত্র যখন অতিশয় প্রশস্ত হইয়া পড়ে, যখন আমরা অন্যকে ভালবাসিতে শিক্ষা করি, তখনই আমরা অন্যের জন্য আত্ম-ত্যাগ করিতে প্রস্তুত হই । কিন্তু অন্যকে ভালবাসিতে হইলে সময়ে সময়ে তাহার দোষ ক্ষমা করিতে হয়। সুতরাং ভালবাসার ক্ষেত্র খুব প্রশস্ত করিতে গেলে ক্ষমাগুণ থাকা আবশ্যক। এই ক্ষমাগুণের সহিত সহিষ্ণুতার নিকট সম্বন্ধ, সুতরাং আত্ম-ত্যাগের সহিতও সহিষ্ণুতার সম্বন্ধ বিদ্যমান আছে। দৃঢ়তা শত বিস্ত্ৰ উপস্থিত হইলেও সঙ্কল্পপরিত্যাগ না করার নাম দৃঢ়তা বা স্থির-প্রতিজ্ঞতা। সহিষ্ণুতার সহিত এই গুণের অতি নিকট সম্বন্ধ। যদি সহ করিবার শক্তি না থাকে, তবে ইহাও থাকিতে পারে না। দৃঢ়তা সহিষ্ণুতার অন্তভুক্ত সহিষ্ণুতার অভাবে দৃঢ়তারও অভাব হয়। স্বতরাং এই গুণে