পাতা:নীতি-সন্দর্ভ.djvu/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

, দয়াগুণ । Ե-Զ উপস্থিত হইলে যে ব্যক্তি এই সকল ঋণ পরিশোধ করিতে যত্ন না করে, তাহার কখনও শ্রেয়োলাভ হয় না। উক্ত চতুৰ্ব্বিধ ঋণের মধ্যে মানব-ঋণ অন্যতম। সহানুভূতিদ্বারা এই মানব-ঋণ হইতে মুক্তিলাভ করা যায়। সুতরাং মনুষ্যজাতির প্রতি দয়। প্রকাশ করিতে আমরা বাধ্য। এমন কি, যাহারা দু'দিন পূর্বে আমাদের অহিতে রত ছিল এবং আমাদিগকে দেখিবা মাত্র যাহাদের হৃদয় হিংস ও দ্বেষে পরিপূর্ণ হইয়া উঠিত তাহাদিগকেও, দয়া করিতে আমরা ধৰ্ম্মতঃ বাধ্য। কেবল মনুষ্য কেন, প্রাণিমাত্রই আমাদের দয়ার পাত্র। পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরে এই দয়াগুণ সম্যকরূপে পরিস্ফুরিত হইয়াছিল। পরোপকার র্তাহার জীবনের ব্রত ছিল এবং সেই ব্রতের উদযাপন করিয়া তিনি এই সংসার হইতে বিদায় গ্রহণ করিয়াছেন । বিদ্যাসাগরের দয়া কতশত অন্নক্লিষ্টদরিদ্রের দুঃখমোচন করিয়াছে, তাহার ইয়ত্তা নাই অথচ কেহ তাহা জানিতে পারে নাই । বিদ্যাসাগর যথার্থ “দয়ার সাগর’ ছিলেন । দরিত্রের দুঃখকষ্ট দেখিলে চক্ষের জলে র্তাহার বক্ষ ভাসিয়া যাইত ; তিনি বালকের ন্যায় চিৎকার করিয়া কাদিতেন । র্তাহার উপার্জনের প্রায় সমস্ত অর্থ তিনি দরিদ্রদিগের দুঃখমোচনে ব্যয়িত করিয়াছেন । ছিয়াত্তরের মন্বন্তরের সময় বিদ্যাসাগরের কৃপায় বীরসিংহ ও তন্নিকটস্থ গ্রামসমূহের নরনারী একটা দিনের জন্যও উপবাস করে নাই। বদ্ধমানের সেই প্রসিদ্ধমারীভয়ের সময় বিদ্যাসাগরের কৃপায় অনেক নরনারী মৃত্যুর করালগ্রাস হইতে রক্ষা পায়। তিনি