পাতা:নীতি প্রভা - প্রথম খণ্ড.pdf/৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫২ নীতি প্রতা । অস্থরক্ত হইয়া পরিজনগণের প্রতি প্রীতি প্রকাশ করিতে লাগিল । তাহার নির্দোষ ভাৰ এবং সুধীর স্বভব সম্প্রদর্শনে বালকগণ আনন্দিত হইয় তাহার মহিত ক্রীড়া করিত। উক্ত পশু স্বীয় প্রভুর এতাদৃশ অঞ্জাবহ হইয়াছিল যে অহা নমাত্র নিকটবর্তি হইত. তৎকারণে গৃহস্বামী তাঁহাকে কুকুরের ন্যায় প্রভুভক্ত এবং মার্জীরের ন্যায় ক্রীড়াতুর কহিতেন। প্রতিদিন ঐ পশু সমুদ্রজন্সে অবতরণ করিয়া মৎস্য ধারণে প্ৰবৰ্ত্ত হইত, তাহার স্বীয় উদর পুর্ণ হইলে প্রায় প্রতিদিন একটা রোহিত অথবা কাতলা মংস্য স্বীয় প্রভুর ভোজনার্থে আনয়ন করত। সে গ্রীষ্মকালে রৌদ্রতাপে ও শীতাগমে অগ্নির নিকটে কিম্ব অষ্ণুমতি পাইলে উন্ন মধ্যে উপবিষ্ট থাকিতে অত্যন্ত ভাল বাসিত । এইরূপে ঢারিবৎসর ঐ পশু সেই ভাগাধর গৃহে পোষিত ছিল। তদনন্তর দুভাগ্যক্রমে গৃহিব্যক্তির পশুপাল মধ্যে মহামারি উপস্থিত হইবায় দিন গোমেষদির হ্ৰাসত প্রাপ্তি হইতে লাগিল। গৃহস্বামী তজ্জন্য চিন্তাকুল হইয়া এক বৃদ্ধ স্ত্রীকে ইহার কারণ কি জিজ্ঞাস কনিলেন । উক্ত রমণী কিঞ্চিৎকাল বিবেচনা করিয়া ভ্রান্ত চিত্ত বৃদ্ধকে কহিল, যে স্থদালয়ে যে শীলপশুপোষিত আছে তাহার নিমিত্তেই এই অশুভ ঘটনার স্বত্র হইয়াছে । উক্ত পশুকে এই দণ্ডে বাটহইভে বহিস্কৃত না করিলে মাস্ত্রীভয় উত্তরোত্তর বৃদ্ধি হইবে । হতভাগ্য বৃদ্ধ এই অমুলক বাকো বিশ্বাস পূর্বক ভ্রান্তিজালে পতিত হইয় রক্ষসীর কুপরামর্শে সন্মত হইল। পরে ঐ নির্দেষি ক্রীড়াকুতুহুল শীল পশুকে নৌকারোহণ করাইয়া দূরবৰ্ত্তি