পাতা:নীতি প্রভা - প্রথম খণ্ড.pdf/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘Yor নীতি প্রভ । লাষে পিতৃ সমীপে নিবেদন করিল, “ হে পিতঃ ! আমি অত্যন্ত তৃষ্ণাতুর হইয়াছি, ঐ উদ্যানমধ্যে নানাবিধ উত্তমোত্তম ফলসকল সুপক রহিয়াছে । আহা ! তাহার একটি ফল ভক্ষণ করিতে পাইলেও আমি যে কত সুখী হইব তাহ বলিতে পারি না । বাগানের বেড়া সকলও বড় ঘন নয়, এখানে একটা গৰ্ত্তও দেখিতেছি, আমি মনীয়াসে ইহায় মধ্যদিয়া বাগানে প্রবেশ করিতে পারি। বাগান-রক্ষক এখানে উপস্থিত নাই, কেহ আমাদিগকে দেখিতে পাইবে না ’ বালকের এতদ্বীক; শ্রবণ করিয়া পিত কহিলেন, “ হে আমীর প্লিয় পুস্ত্ৰ ! তুমি জান না, যদিও অন্য কেহ না দেখুক তথাপি এক জন আমাদিগকে দেখিতেছেন । তিনি ইহাতে দণ্ড করিবেন, ও সে দণ্ডও অন্যায় নহে, যেহেতু তুমি যাহ। মনন করিফুলস্থ তাহ অতি দুষ্কৰ্ম্ম ।” বালক কহিল, “ সে কে পিতঃ !” পিত কহিলেন, “যিনি সৰ্ব্বত্র বিরাজমান আছেন, মিনি ক্ষণকালও অামাদের ময়নান্তর করেন না, এবং যিনি তোমার হৃদয়ণগরের অtrদ্যাপীন্ত দেখিতেছেন, এবং যিনি অন্তর্যামী হইয়! তোমার অন্তরের কথাও শুনতেছেন, তিনি সেই পরমেশ্বর র্হ পিতা ! তাহ যথার্থ বটে, আমি ঐ ফলের বিষয় মনোমধ্যে আর চিস্তাও করিব না ।” ইতিমধ্যে এক ব্যক্তি উদ্যানহইতে মস্তক্ষেত্ত্বোললপূৰ্ব্বক দণ্ডায়মান হইল। সে ঐ উদ্যানের রোধসকলের পার্শ্বভাগে নিম্ন ভূমিতে বসিয়াছিল, তাহার পুৰ্ব্বে তাহাকে দেখিতে পায় নাই। সেই বৃদ্ধ ব্যক্তি ঐ উদ্যানস্বামী, সে বালককে সম্বোধন করিয়া কহিল, “ হে বৎস ।