পাতা:নীতি রত্নাবলী.pdf/২৪

নীতি রত্নাবলী। 为食 τής বুদ্ধি বিবেক সত্য সারল্য প্রভৃতি গুণ দ্বারা এত =কষতাপন্ন হইয়াছি, ইহার অভাবেই পশুগণ এত হীন কাম ক্রোধাদি নিকৃষ্ট প্রবৃত্তি কি মনুষের নাই ? অবশ্যই আছে, তাহ থাকাসেই জুগদীশুখ্রীর বিশেষ নিপুণতা দেখা যাইতেছে, কারণ নিকৃষ্ট ও উৎকৃষ্ট উভয় গুণের সমাবেশ কেৰল মনুষ্যতেই দেখা যাইতেছে, অন্যকোন প্রাণিতে তদ্রুপ দৃষ্ট হয় না। যখন উৎকৃষ্ট প্রৱত্তি কেবল মনুষ্যের আছে জুস্থ্যি কোন প্রাণির নাই, তখন পশুর ন্যায় কাৰ্য্য করা মন্থয্যের কদাচ উচিত নহে, যদিও জগদীশ্বর অনুমার্দুিকে স্পষ্ট বলিয়া দেন নাই, তথাপি ঐ সমুদায় বৃত্ত্বি প্রদান দ্বারাই তাহ স্পষ্ট প্রতীয়মান হইতেছে। আবার দেখ ঐ শ্রেষ্ঠত্ব কিসে স্থির রাখা যাইতে পারে, শ্রেষ্ঠ পথে চলিলেই সেই শ্রেষ্ঠ পদ রক্ষা হয় এবং অন্যথা হইলে দ্বিপদ হইয়া চতুষ্পদ হইতে নীচ হুইতে হয়, কারণ পশুর ন্যায় ব্যবহার করে তাছাতেই তাহাদিগকে স্বাভাবিক অবস্থায় চলে বলিতে হুইল, যে ব্যক্তি নীচ প্রবৃত্তির বশীভূত হইয়া চলে এবং , নীচ কাৰ্য্য করে সে তং ফল স্বরূপ দুঃখ অনন্ত কালের জন্য ভোগ করিয়া থাকে ও যে ব্যক্তি সৎকাৰ্য্য করে সে তৎ, ফল স্বরূপ সুখ অনন্ত কালের জন্য ভাগ করে ।