পড়ে পাওয়া
কালবৈশাখীর সময়টা। আমাদের ছেলেবেলার কথা।
বিধু, সিধু, নিধু, তিনু, বাদল এবং আরও অনেকে দুপুরের বিকট গরমের পর নদীর ঘাটে নাইতে গিয়েছি। বেলা বেশি নেই।
বিধু আমাদের দলের মধ্যে বয়সে বড়। সে হঠাৎ কানখাড়া করে বললে—ঐ শোন—
আমরা কানখাড়া করে শুনবার চেষ্টা করলাম। কিছু শুনতে বা বুঝতে না পেরে বললাম—কি রে?
বিধু আমাদের কথার উত্তর দিলে না। তখনো কানখাড়া করে রয়েছে।
হঠাৎ আবার সে বলে উঠলো—ঐ—ঐ শোন—
আমরাও এবার শুনতে পেয়েছি—দূর পশ্চিম-আকাশে ক্ষীণ গুড়গুড় মেঘের আওয়াজ।
নিধু তাচ্ছিল্যের সঙ্গে বললে—ও কিছু না—
বিধু ধমক দিয়ে বলে উঠলো—কিছু না মানে? তুই সব বুঝিস কিনা? বোশেখ মাসে পশ্চিম দিকে ওরকম মেঘ ডাকা মানে তুই কিছু জানিস? ঝড় উঠবে। এখন জলে নামবো না। কালবৈশাখী।
আমরা সকলে ততক্ষণ বুঝতে পেরেছি ও কি বলছে। কালবোশেখীর ঝড় মানেই আম কুড়নো! বাঁড়ুয্যেদের মাঠের বাগানে চাঁপাতলীর আম এ অঞ্চলে বিখ্যাত। মিষ্টি কি! এই সময়ে পাকে। ঝড় উঠলে তার তলায় ভিড়ও তেমনি। যে আগে গিয়ে পৌঁছতে পারে, তারই জয়।
৯৬